ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ এর কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২০:৪৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ এর কার্যক্রম শুরু

স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি ও দেশের ডিজিটালাইজেশন যাত্রা ত্বরাণ্বিত করতে জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ উদ্বোধন করেছে গ্রামীণফোন।বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশি স্টার্টআপগুলোকে সহায়তার জন্য এ বছরের শুরুতে গ্রামীণফোনের সঙ্গে বেটারস্টোরিজ লিমিটেড, লাইটক্যাসেল পার্টনার্স এবং আপস্কিলের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই তিন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সঙ্গে ১২ মাসব্যাপী চলমান প্রোগ্রাম জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের সেরা স্টার্টআপ খুঁজে বের করবে। পাশাপাশি বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উপযুক্ত রিসোর্স প্রদানের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোর সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষ্যে কাজ করবে তারা।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, গ্রামীণফোন দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের তৈরিতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ৬টি ব্যাচ জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। তারা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের এবং সমগ্র ইকোসিস্টেমের উন্নয়নে অবদান রাখছে। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে স্টার্টআপগুলো সহায়তা করছে। প্রযুক্তিনির্ভর ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের সমস্যা সমাধানের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। দেশের সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, এখন পর্যন্ত এ যাত্রায় দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল চাহিদা মূল্যায়নে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সমাধান প্রদানে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের ৪৪টি স্টার্টআপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের পার্টনাদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে দেশের মেধাবীদের সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়ক ইকোসিস্টেম তৈরির ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৫ সালে গ্রামীণফোন প্রথম ‘জিপি অ্যাকসেলেরেটর’ উদ্যোগ গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে এই প্রোগ্রাম ৪৪টি সম্ভাবনাময় স্টার্টআপের (দেশজুড়ে ৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে) অংশগ্রহণে সফলভাবে ৬ পর্ব শেষ করেছে। গ্রামীণফোন ১৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি (৪.২ কোটির বেশি সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা এবং ১০ কোটির বেশি অন্যান্য সহায়তা) প্রদান করেছে, যেখানে প্রতিটি দল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা সমমানের সহায়তা পেয়েছে।

সেবা ডট এক্সওয়াইজেড, সিএমইডি হেলথ, ঢাকাকাস্ট, ক্র্যামস্ট্যাক, ডক্টরকই এবং সম্ভাবনাময় এমন আরও অনেক স্টার্টআপ জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে সফল হয়েছে। সেবা ডট এক্সওয়াইজেড, সিএমইডি হেলথ ও পার্কিংকই ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের ভ্যালুয়েশন মার্ক অতিক্রম করেছে। ডেমো ডে থেকে গড়ে ১৬ গুণ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সাড়ে চার মাস বুট ক্যাম্প চলাকালে স্টার্টআপের ভ্যালু বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.৭ গুণ।

ঢাকা/ফিরোজ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়