নগরীতে পথচারীদের নজর কাড়ছে ঘাসফুল
আমিরুল ইসলাম, রংপুর || রাইজিংবিডি.কম
নগরীর রাস্তায় শোভাবর্ধক ঘাসফুল
নগরীর ব্যস্ততম সড়কের মাঝখানে লাল গোলাপের ন্যায় সৌন্দর্য ছড়িয়েছে ঘাসফুল। চলাচলে দৃষ্টি কাড়ছে পথচারীদের। ঘ্রাণহীন এই ফুলে রংপুর শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যেন যুক্ত হয়েছে ভিন্ন এক রঙিন আবহ। নগরের বাসিন্দারা বলছেন, সড়ক লাইটের পাশাপাশি এই ঘাসফুল পরিচ্ছন্ন নগরীর জানান দিচ্ছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের সড়কে চলাচল করলে দেখা যাবে এমন ফুল। বিশেষ করে নগরীর পার্ক মোড় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে লালবাগ, শাপলা, জাহাজ কোম্পানি হয়ে মেডিক্যাল মোড় পর্যন্ত যেতে নজর কাড়বে এই ফুল।
শাপলা চত্বর এলাকার ক্রোকারিজ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তার মাঝখানে ঝাউ পাতার গাছের সাথে ঘাসফুল খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। আর এই ফুলগুলো দেখে অনেক শিশু ও স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা ফাঁক পেলেই ফুল ছিড়ে মাথায় গুঁজে রাখে, আর এতে যেন তাদের আনন্দের সীমা থাকে না।
ক্যান্ট পাবলিকের শিক্ষার্থী মোবাশ্বের হোসেন বলেন, সকালবেলা যখন আমরা স্কুলে যাই, সেই সময় রাস্তা কিছুটা ফাঁকা থাকে। ফুলগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে তখন।
এই ফুল সকালের চেয়ে বিকেল বেলায় আরও শোভাবর্ধন করে নগরের সড়কগুলোকে। তাই পাকিস্তানে একে 'গুল দোপেহেরি' বলা হয়। যার অর্থ বিকেল বেলার ফুল। কারণ, এটি বিকেলেই সুন্দর প্রস্ফুটিত হয়। আবার বাংলাদেশে একে বলা হয় টাইম ফুল। কারণ, এটি বিশেষ সময়ে ফুটে থাকে। এছাড়া স্থান ভেদে একে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। বাংলাদেশের গ্রামে এটিকে ‘ঘাসফুল’ নামেও ডাকা হয়। যদিও ফুলের আসল নাম এটি নয়। আবার বাংলাদেশের শহরে একে 'পর্তুলিকা' নামেও ডাকা হয়।
সংবাদকর্মী ও সমাজসেবক মিজানুর রহমান বলেন, মেয়রের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। নগরের প্রতিটি সড়কে এভাবে ঘাসফুলের পাশাপাশি যদি অন্যান্য পাতাবাহার এবং দৃষ্টিনন্দন উদ্ভিদ লাগানো হতো, তাহলে আরও ভালো লাগতো এই নগরীকে।
রংপুর সিটি করপোরেশেনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, সড়কের ডিভাইডার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও নগরীর সৌন্দর্যকে বিকশিত করতে মালিদের কাজে লাগিয়ে চলতি বছরে সড়কের মাঝখানের পরিত্যক্ত জায়গাতে ঘাসফুল লাগানো হয়েছে। যা ইতোমধ্যে শহরে সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়েছে। আমরা চেষ্ট করছি আরও নতুন নতুন দৃষ্টিনন্দন কিছু সংযোজন করে এই নগরীকে সুন্দর করতে।
/মাহি/
আরো পড়ুন