ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিশুদের লং-কোভিড নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

লাইফস্টাইল ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৯:১০, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
শিশুদের লং-কোভিড নিয়ে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

করোনাভাইরাস মানুষের বাছবিচার করে না। প্রাপ্তবয়স্করা তো বটেই, শিশুরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। পাশাপাশি লং কোভিড শিশুদের প্রভাবিত করে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বে আলোচনা চলছে।

ইতিমধ্যে কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে, শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো করোনা সংক্রমণ পরবর্তী জটিলতায় ভুগতে পারে। তবে সর্বশেষ গবেষণা বলছে, শিশুদের লং কোভিডের ঝুঁকি কম।

কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার মানে এটা নয় যে, এ যুদ্ধে পুরোপুরি বিজয় হয়েছে, হয়তো অর্ধেক বিজয় মিলেছে। কেননা করোনা থেকে সুস্থতার পরও অনেকেরই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কোভিড পরবর্তী কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এসব স্বাস্থ্য সমস্যাকে লং কোভিড অথবা পোস্ট-কোভিড সিন্ড্রোম বলা হয়।

লং কোভিড করোনাভাইরাসের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবকে বোঝায়, যা সুস্থ হওয়ার পর সপ্তাহ বা মাস ধরে মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি এমন ৫-১০ শতাংশ কোভিড রোগী এবং প্রায় ৮০ শতাংশ গুরুতর কোভিড রোগী যারা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তারা কোভিড-পরবর্তী জটিলতার মুখোমুখি হয়েছিলেন।

শিশুদের লং কোভিড ঝুঁকি কতটা ব্যাপক?

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এমসিআরআই) গবেষকদের সর্বশেষ প্রকাশিত গবেষণায়, শিশুদের মধ্যে কোভিড-পরবর্তী সিন্ড্রোম আগের ধারণার চেয়ে অনেক কম দেখা গেছে।

নতুন এই গবেষণায় ১৪টি আন্তর্জাতিক গবেষণা পর্যালোচনা করা হয়েছে, ওই গবেষণাগুলো লং-কোভিডের ১৯,৪২৬ জন শিশু-কিশোরের ওপর করা হয়েছিল।

এমসিআরআই গবেষকরা পর্যালোচনায় দেখতে পেয়েছেন, শিশুদের মধ্যে লং-কোভিড সম্পর্কিত বেশিরভাগ গবেষণায় অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল এবং শিশুদের লং কোভিডের বিষয়টিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করা হয়েছে।  

তবে এমসিআরআই’র গবেষকরা মেনে নিয়েছেন, লং কোভিড আসলে শিশুদের প্রভাবিত করতে পারে।

শিশুদের লং-কোভিডের উপসর্গ

শিশুরা লং কোভিড এবং এর উপসর্গের শিকার হলে জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, ঘুমের ব্যাঘাত, মনোযোগের অভাব এবং পেটব্যথার মতো সমস্যায় ভুগতে পারে। এমসিআরআই’র আরেকটি গবেষণার দেখা গেছে, করোনা আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশু-কিশোর হালকা উপসর্গে ভুগে থাকে এবং কারো কারো উপসর্গই থাকেই না। তবে উপসর্গ দেখা দিলে তাদের উচ্চ জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, নাক বন্ধ বা নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, পেশী ব্যথা এবং ক্লান্তি প্রকাশ পেতে পারে।

শিশুকে নিরাপদ রাখবেন যেভাবে

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এখনো শিশুদের জন্য করোনার টিকা অনুমোদিত নয়, অভিভাবক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং আপনি নিজে করোনার টিকা গ্রহণের মাধ্যমে শিশুকে নিরাপদ রাখতে পারেন।

এছাড়া আপনি এবং আপনার সন্তানরা যখনই বাইরে যান, মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করুন। এ সময়ে হাতের হাতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অপ্রয়োজনে বাইরে যাওয়া এবং জনাকীর্ণ এলাকায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এবং করোনার অন্যান্য সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়