ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী 

রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১  
শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী 

ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমাজ সেবক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মদানকারী জাতীয় বীর শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ।

 ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সারাদেশে ২২ দল আহুত হরতালের আহবান করে। ওইদিন গাজীপুরের কালীগঞ্জে গণতন্ত্র প্র্রতিষ্ঠার সংগ্রামের মিছিলে ময়েজউদ্দিন নেতৃত্ব দেন। ওই সময় কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

দিবসটি উপলক্ষে আজ কালীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিলো সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে শহীদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ। সাড়ে ১১টায় কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে শহীদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। দুপুর ১টায় শহীদের নিজ গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়া স্কুল মাঠে শুরু হয়েছে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজ। 

এছাড়া বিকাল ৪টা পৌর এলাকার দেওপাড়ায় শহীদ ময়েজউদ্দিন ফেরীঘাটে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্র ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

ময়েজউদ্দিন ১৯৩০ সালে ১৭ মার্চ বর্তমান গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়হরা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছুরত আলী, মায়ের নাম শহরবানু।  তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্র্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপির বাবা। 

ময়েজউদ্দিন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিলের’ আহবায়ক ছিলেন। একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে ওই ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। ময়েজউদ্দিন উল্লেখযোগ্য সময় ধরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-কালীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট) সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। একাধারে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি)’র মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ ময়েজউদ্দিন একজন দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সাধারণ জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে ইতিহাসে এবং মানুষের হৃদয়পটে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করায় সরকার তাকে সব্বোর্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান  ‌স্বাধীনতা পদক-এ ভূষিত করে।

কালীগঞ্জ (গাজীপুর)/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়