ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

করোনায় মৃত মোস্তাফিজুর রহমান আলমগীর নামে এক ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তারা হলেন-ব্যাংকটির চকবাজার শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরীফ প্রধান এবং একই শাখার অ্যাসিটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা হয়েছে।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে মোস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক সালেহ আহমেদ মামলা করেন।  আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে সিআইডিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাদীপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম (রিপন) মামলার বিষয়টি জানান।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাবেয়া আক্তারের স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বিয়ের আগে মামলার আসামি শরীফ প্রধানের স্ত্রীর বড় বোন নাজমা আক্তারের বিয়ে হয়। কিন্তু নাজমা আক্তার ২০১৮ সালে মারা যান। গত বছর ২৯ ফেব্রুয়ারি রাবেয়া আক্তারের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। মোস্তাফিজুর রহমান নাজিরা বাজারে পপুলার সাইকেল মাঠ নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী হয়ে সাইকেল পার্টস ব্যবসা করার সময় এ মামলার সাক্ষী বিল্লাল হোসেনের কাছে ব্যবসায়িকভাবে ৩৭ লাখ টাকা পাওনা হন। বিল্লাল ৩৭ লাখ টাকার চেক মোস্তাফিজুর রহমানকে দেন। চেকটি পেয়ে মোস্তাফিজুর রহমান পূবালী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় যান।  সেখানে শরীফ প্রধানের সঙ্গে  দেখা করে চেকটি দেন মোস্তাফিজুর রহমান।  এ সময় সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি চেকটি শরীফ প্রধানের কাছে রেখে চলে আসেন। পরে তার করোনা পজেটিভ হয়। অসুস্থ অবস্থায় মোস্তাফিজুর রহমান চেকের বিষয়টি তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে জানান। 

২৫ মার্চ মোস্তাফিজুর রহমান মারা যান। পরে এ বিষয়ে এ মামলার বাদী বংশাল থানায় একটি জিডি করেন।  জিডি তদন্তে শরীফ প্রধান মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে রফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় ৩৭ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন মর্মে উঠে আসে।  টাকার বিষয়ে রাবেয়া আক্তার জানতে চাইলে শরীফ প্রধান তাকে ভয়ভীতি দেখান।