ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খুলনা বিভাগের জন্য কেনা হচ্ছে ৩২ হাজার বিদ্যুৎ পোল

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ৩ জানুয়ারি ২০২২  
খুলনা বিভাগের জন্য কেনা হচ্ছে ৩২ হাজার বিদ্যুৎ পোল

দেশের শতভাগ মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের জন্য ৩২ হাজার ৪০০টি এসপিসি পোল কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (খুলনা বিভাগ)’ প্রকল্পের আওতায় এসব পোল কেনা হবে।

সূত্র জানায়, ৩২ হাজার ৪০০টি এসপিসি পোল কেনার প্রস্তাব ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ সরকার, এডিবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৩ হাজার ৭৬ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রকল্পটি ২০২১ সালের ৪ মে একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের ডিপিপিতে এমসিইপি/বিআরইবি/কেডি-জি-২১ প্যাকেজের আওতায় ৯৭ হাজার ১৯৬টি এসপিসি পোল কেনার উল্লেখ রয়েছে। এসপিসি পোলের পাপ্যতা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বিবেচনায় বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় (এপিপি) প্যাকেজটিকে তিনটি লটে (লট-১, লট-২ ও লট-৩) ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। লট-২ ও লট-৩ এর ক্রয় প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন আছে। লট-১ এ ৩২ হাজার ৪০০টি এসপিসি পোলের দাম এপিপি অনুযায়ী ৮৮কোটি ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং দাপ্তরিক প্রাক্কলন ৬৫কোটি ৮০ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৮ টাকা।

প্রকল্পের ডিপিপিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বৈদ্যুতিক সরঞ্জম কেনার খাতে ২৬১ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ আছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দকৃত অর্থ পুনঃউপযোজনের মাধ্যমে প্রকল্পে ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই বরাদ্দ থেকে এসপিসি পোলগুলো কেনা হবে।

সূত্র জানায়, লট-১ এর আওতায় এসপিসি পোল কেনার জন্য বাপবিবো এডিবি’র ওপেন কমপিটিটিভ বিডিং পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্র বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দরপত্র মূল্যায়নের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ২০২১ সালের ২৭ জুলাই তারিখের মধ্যে লট-১ এ ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে এবং দরপ্রস্তাবগুলো একই তারিখে দরদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে খোলা হয়।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) আলোচ্য লটের আওতায় পাওয়া দরপত্রগুলো মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন পেশ করে। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পোলস অ্যান্ড কনক্রিট লিমিটেড এবং টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেড ৩১ কোটি ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ৩৮৮ টাকা দর উল্লেখ করে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয়। দরপত্রে অংশ নেওয়া কনটেক কন্সট্রাকশন লিমিটেড ৩৪ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার ৬৫৭ উল্লেখ করে দ্বিতীয়, কনফিডেন্স ইনফ্রাক্ট্রাকচার লিমিটেড ৩৪ কোটি ৭২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৭৪ টাকা উল্লেখ করে তৃতীয় এবং বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি ৪০ কোটি ৮৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৪ টাকা উল্লেখ করে চতুর্থ নিম্ন দরদাতা হয়।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) দরপত্র দলিলের আইটিবি-৩৭.৪ এর ভিত্তিতে পারফরম্যান্স সিকিউরিটির পরিমাণ চুক্তিমূল্যের ২০ শতাংশ নির্ধারণসহ সর্বনিম্ন রেসপন্সিভ দরদাতা পোলস অ্যান্ড কনক্রিট লিমিটেড এবং টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করার বিষয়ে অনাপত্তি জানিয়েছে প্রকল্পে অর্থায়নকারী এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।

আলোচ্য লটের সুপারিশকৃত মূল্য দাপ্তরিক প্রাক্কলনের চেয়ে ৫২.৩৫ শতাংশ কম এবং এপিপির মূল্যের চেয়ে ৬৪.৪২ শতাংশ কম হওয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতা পোলস অ্যান্ড কনক্রিট লিমিটেড এবং টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেডের কাছে কস্ট ব্রেকিং ডাউন অ্যান্ড জাস্টিফিকেশন চাওয়া হয়। এছাড়া, দরপত্রের অন্যান্য শর্ত যাচাই-বাছাই শেষে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি পোলস অ্যান্ড কনক্রিট লিমিটেড এবং টিএসসিও পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে এসপিসি পোল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়ার সুপরিশ করেছে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

হাসনাত/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়