ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঈদুল ফিতরের শিক্ষা ও বিধান

মাওলানা মুনীরুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১ মে ২০২২   আপডেট: ১৫:০৪, ২৩ মার্চ ২০২৩
ঈদুল ফিতরের শিক্ষা ও বিধান

একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদ উৎসব মুসলিম জাতির প্রতি মহান রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে এক বিরাট নেয়ামত ও পুরস্কার। ‘নিশ্চয়ই তোমাদের এ জাতি একক একটি জাতি’ মহান আল্লাহর এ ঘোষণার বাস্তবরূপটি প্রকাশিত হয় বিশ্ববাসীর সামনে।

ঈদ মুসলমানদের জীবনে শুধু আনন্দ-উৎসবই নয়, বরং এটি একটি মহান ইবাদত যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা খুঁজে পায়, ধনী-গরিব, কলো-সাদা, ছোট-বড় সব ভেদাভেদ ভুলে যায় এবং সব শ্রেণি ও বয়সের মুসলমানরা ঈদের জামাতে শামিল হয়ে মহান প্রভুর দরবারে অবনত হয়।

ঈদের এ মহান উপলক্ষকে সামনে রেখে আজ আমাদের এ আত্মজিজ্ঞাসা উত্থাপিত হওয়া প্রয়োজন যে, সত্যিই আমাদের ঈদ কি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণ হতে পেরেছে? যে মহান স্রষ্টা তাদেরকে এরকম বিশাল আনন্দ উৎসবের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা তাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে সব সময় তাঁকে স্মরণ রেখেছে?

আমাদের কর্তব্য হলো, ঈদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শরীয়া বিধান মেনে চলা ও শিষ্টাচারিতা রক্ষা করা। সংক্ষেপে ঈদের শরীয়া বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো। ১. ঈদের আগের দিন সূর্যাস্ত থেকে শুরু করে ঈদের নামাজ আদায় করা পর্যন্ত তাকবির বলতে থাকা। এ হচ্ছে বিশ্ববাসীর সামনে মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। তাকবিরের শব্দগুলো হলো- ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’ 

পুরুষরা মসজিদে, বাজারে ও ঘরে এ তাকবির ধ্বনি জোরে দিতে থাকবে। আর মহিলারা তাকবির বলবে ঘরে আস্তে। ২. সদকাতুল ফিতর প্রদান করা, রোজাদারের যে ভুল-ভ্রান্তি ও পাপ হয়েছে তা মোচন করার জন্য এবং মিসকিনদের খাদ্য জোগানের উদ্দেশ্যে সদকাতুল ফিতর দেওয়ার বিধান দেওয়া হয়েছে। 

৩. ঈদের দিন সকালে গোসল করা ও সুন্দর পোশাক পরিধান করা এবং ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে পুরুষদের খোশবু ব্যবহার করা উত্তম।

৪. ঈদগাহে যাওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণ করে তিনটি বা পাঁচটি করে বেজোড় সংখ্যক খেজুর খাওয়া।

৫. ঈদের জামাতে শামিল হওয়া এবং পুরো খুতবা শোনা। ঈদের নামাজ ওয়াজিব, কোনো ওজর ছাড়া ত্যাগ করা যাবে না। 

৬. এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা ইত্যাদি। আসুন, আমরা ইসলামের অনুশাসন মেনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করি।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম

/সাইফ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়