ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পচা কলার দোকান

মুজাহিদ বিল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ১০ মে ২০২২  
পচা কলার দোকান

পচা কলার দোকান! শুনে অবাক হচ্ছেন। ভাবছেন পচা কলার দোকান হয় কীভাবে? ক্রেতাই-বা কারা? অবাক হওয়ার কিছু নেই, তবে এ নামে একটি কলার দোকানের দেখা মিলবে রাজধানীর বাড্ডায়।

বাড্ডার ডিআইটি রোডে এই ব্যতিক্রমী কলার দোকানের অবস্থান। দোকানের নাম ‘আর কে পচা কলার দোকান। দোকানের মালিক রিয়াজ খন্দকারের নামেই এই নাম। 

নাম শুনে ভাবার কারণ নেই এখানে পচা কলা বিক্রি হয়। তবে দোকানে ফরমালিনমুক্ত ভালো কলা বিক্রি হয় বলে দাবি করলেন রিয়াজ খন্দকার। মূলত ‘ভালো মানের কলা’ কিংবা ‘খাঁটি কলার’ নাম করে যেসব বিক্রেতারা ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের জব্দ করতেই কি দোকানের উল্টো নাম রেখেছেন এই কলা বিক্রেতা। মজার ব্যাপার, এ নামে বিক্রি কমেনি, বরং বেড়ছে। আস্থা অর্জন করেছে এলাকার গ্রাহকের। 

দোকানের এমন নামকরণ প্রসঙ্গে রিয়াজ খন্দকার বলেন, কলা খুব দ্রুত পচে যায়। তিন বা চার দিনের বেশি টাটকা থাকে না। ওষুধ ব্যবহার করলে সেটা অন্য কথা। আমার কলায় ফরমালিন নেই। ফলে ক্রেতা এসে কলা দেখলেই বলে- কলা তো পঁচা, তাই দোকানের নাম এমন রেখেছি।

তবে দোকানটিকে মধ্য বাড্ডার বাসিন্দারা অনেকেই ‘গরিবের দোকান’ হিসেবে চেনেন। বেশ কিছু কলা রাতে দোকান বন্ধ করার সময় দোকানের বাইরে রেখে যান রিয়াজ। যাদের ক্রয় করার সামর্থ নেই তারা বিনামূল্যে কলাগুলো সংগ্রহ করেন। 

পচা কলার দোকান থেকে নিয়মিত কলা ক্রয় করেন বাড্ডার বাসিন্দা হাসান রহমান। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, প্রথম ভাবতাম এখানে পচা কলা বিক্রি হয়। কিন্ত এখানকার কলাগুলো অন্য দোকানের কলার চেয়ে গুণে এবং মানে ভালো। মিষ্টি এবং দামেও সুলভ।

রিয়াজ নিজেও মনে করেন, অন্যান্য দোকানের চেয়ে তার দোকানে ভালো মানের কলা পাওয়া যায় বলেই  তিনি এমন নাম দিয়েও ক্রেতার আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন। 

/তারা/ 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়