ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কর বাড়িয়ে তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ২৬ মে ২০২২  
কর বাড়িয়ে তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার দাবি

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কর বাড়ানোর মাধ্যমে তামাকপণ্য মূল্য বৃদ্ধি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসৃত পদ্ধতি। ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর বাড়ানো জরুরি। কর এমনভাবে বাড়ানো উচিত, যাতে মানুষ তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হন।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে উল্লিখিত অভিমত জানানো হয়েছে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি। আলোচক ছিলেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী, সিটিএফকে-বাংলাদেশেল লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল ইসলাম।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম।

সিটিএফকে-বাংলাদেশের গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া বলেন, ‘কার্যকরভাবে করারোপের অভাবে বাংলাদেশে তামাকদ্রব্য অত্যন্ত সস্তা এবং সহজলভ্য হচ্ছে। এজন্য তামাকদ্রব্যের ওপর কর বাড়াতে হবে।’

মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতো তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে তামাক কর বৃদ্ধির বিকল্প নেই।’

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, ‘অন্যান্য করের সঙ্গে তামাক করের পার্থক্য আছে। এটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বুঝতে হবে। কারণ, তামাকের কারণে যে পরিমাণ কর আহরণ হয়, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এর বহু গুণ।’

ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য তামাক খুবই ক্ষতিকর। এর আর্থিক ক্ষতি কম নয়। তামাকের ব্যবহার কমাতে উদ্যোগ নিতে হবে। ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করার জন্য তামাক কর বৃদ্ধি করাটা খুবই জরুরি।’

হাসান/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়