ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘দেশের নাগরিক পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩১, ২৭ জুন ২০২২  
‘দেশের নাগরিক পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে’

ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিক পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘আর্টিকেল নাইনটিন’। 

সোমবার (২৭ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ কথা জানায়।
 
নাগরিক অধিকার সংগঠন ‘অধিকার’র কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নেওয়া সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আর্টিকেল নাইনটিন। 

সংগঠনটি জানায়, এই সিদ্ধান্ত নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সংগঠনগুলোর মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করবে এবং তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রতিবাদের অধিকারের মতো ইস্যু নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভিন্নমতকে দমন করার চর্চা এসব কার্যক্রমকে ক্ষুন্ন করে।

আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশে নাগরিক পরিসর সংকুচিত হয়ে আসছে। বিশেষত যেসব নাগরিক সংগঠন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন যেমন- বিচার বহির্ভূত হত্যা ও গুম নিয়ে কাজ করে তাদেরকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। অধিকার কর্মী, ভিন্নমত পোষণকারী এবং সুশীল সমাজের সংগঠনগুলি প্রায়শই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের কাছ থেকে অযাচিত ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হচ্ছে। আইনি এবং প্রশাসনিক বাধা, নিয়ন্ত্রণ এবং হয়রানির জন্য তাদের কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।’

ফারুখ ফয়সল আরও বলেন, ‘প্রতিবাদ করার অধিকার, সংগঠন করার অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার- যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ যথাক্রমে ৩৭, ৩৮ এবং ৩৯- এ নিশ্চিত করা হয়েছে।

মানবাধিকারকর্মীদের নির্বিচার গ্রেপ্তার, আটক, হুমকি, হয়রানি এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোকে আইনি ও প্রশাসনিক দমন-পীড়ন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি (আইসিসিপিআর) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ অনুমোদন করার সময় বাংলাদেশ যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার স্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে নাগরিক অধিকার সংগঠন এবং মানবাধিকারকর্মীদের নিয়ে গৃহীত যেকোনো পদক্ষেপ যেন বৈধ, আনুপাতিক, প্রয়োজনীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।’  

নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র, সুশাসন, কর্তৃত্ববাদের বিরোধিতা, আইনের শাসন, সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে। মানবাধিকার কর্মী এবং নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো দ্বারা উত্থাপিত সমস্যার সমাধান করার পরিবর্তে, কখনও কখনও, সরকার তাদের নিপীড়নের চেষ্টা করে। আর্টিকেল নাইনটিন সরকারের প্রতি নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলোর জন্য ভয়মুক্ত অনুকূল কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানায়৷ পাশাপাশি সরকারকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, প্রতিবাদের অধিকার ও নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় আরও বেশি সংবেদনশীল হওয়ার আহ্বান জানায়।

ঢাকা/হাসিবুল/টিপু 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়