ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শিক্ষক হত্যা: বৃহৎ আন্দোলনের ডাক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ২৯ জুন ২০২২   আপডেট: ১৫:০৪, ২৯ জুন ২০২২
শিক্ষক হত্যা: বৃহৎ আন্দোলনের ডাক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষককে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চতুর্থ দিনের মত বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষনা দেয় তারা। এছাড়া দাবি পূরণ না হলে আরো বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯) সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল হাজী ইউনুছ আলী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। 
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।

নিহত শিক্ষক উৎপল সরকার সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় থানার এঙ্গেলদানি গ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে। তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকার হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এবং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বৃহৎ কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। ওই দিন সাভার উপজেলার সব স্কুল কলেজ আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ১১ টার দিকে সাভার উপজেলা চত্বরে উপজেলার সব স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে করা হবে। 

তারা আরো বলেন, ঘটনার দিন বিকেলেও জিতু এলাকায় বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়েছে। স্যারের অবস্থার অবনতি হলে পর দিন জিতুর পরিবারসহ পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন প্রমিলা ক্রিকেট ম্যাচের ৪ ওভারের মাথায় শিক্ষক উৎপলকে স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে জিতু। আমরা জিতুর ফাঁসি চাই। এ ঘটনায় মামলা হলেও জিতুর বয়স দেখানো হয়েছে ১৬ বছর। কিন্তু জিতুর প্রকৃত বয়স ১৯ বছর। সে কয়েক বছর শিক্ষা বিরতি দিয়ে এই স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে। আমাদের দাবি জিতুর জন্ম সনদ খুঁজে তার বয়স তদন্ত করা যেন হয়।

মানববন্ধনে হাজী ইউনুস আলী কলেজের শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।  

প্রসঙ্গ, গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় শিক্ষক উৎপলকে কাঠের স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে আহত করে জিতু নামের এক ছাত্র। গুরুতর অবস্থায় শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর এক দিন পর রোববার (২৬ জুন) শিক্ষক উৎপল মারা যান। 

এ ঘটনায় রোববারেই নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে মামলা করেন। ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও প্রধান আসামিকে ধরতে না পারলেও জিতুর বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে আটক করেছে পুলিশ। 

সাব্বির/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়