‘বিশ্বের ১০ সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ গন্তব্যের অন্যতম বাংলাদেশ`
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বায়োটেক ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘বিশ্বের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, বিশ্বের ১০টি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ গন্তব্যের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। বোস্টন কনসালটিং গ্রুপ বলছে, আইটি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সেরা গন্তব্য।’
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড ও সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বায়োটেক ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের বিষয়ে এ চুক্তি হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডে আশা দেখাচ্ছে সোনার মাটি, সোনার মানুষ। বঙ্গবন্ধুর সোনার মাটি ও সোনার মানুষই এখন আশার আলো। কোভিডে এই সোনার মাটির এক ইঞ্চি বাদ না দিয়ে সোনার ফসল ফলিয়েছেন কৃষকরা। ফলে এই মহামারিতে কাউকেই না খেয়ে থাকতে হয়নি। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের তরুণরা সোনার মানুষে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশে তৈরি হয়েছে আইটি খাতে দক্ষ ১০ লাখ জনবল। সব ক্ষেত্রেই হচ্ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। ফলে সব কাজই সম্পন্ন হচ্ছে সুষমভাবে। তারুণ্যের মেধা আর প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়েই উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’
তিনি জানান, সারা দেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপনের কাজ চলমান। এর মধ্যে কালিয়াকৈরসহ ৫টি পার্ক এখনই বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত হয়েছে। ২০১৪ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরুর পর ৫ বছরের মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ৪৯৮ কোটি টাকা। বেসরকারি বিনিয়োগ হয়েছে ৩২৭ কোটি টাকা। আমরা আয় করেছি ৫০ কোটি টাকার বেশি। ১১০টি কোম্পানিতে ১৩ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ৫০ হাজার জনের কর্মসংস্থান করা। ওরিক্সে জ্ঞানভিত্তিক কর্মসংস্থান হবে। তাদের বেতন হবে অনেক বেশি।
জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, ‘এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে কেন আসবে বিনিয়োগকারীরা? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, ১০ বছরের ট্যাক্স হলিডে, ডেভেলপারদের জন্য ১০ বছরের ট্যাক্স ফ্রি সুবিধা রয়েছে। ডিউটি ফ্রি মেশিন আমদানি এবং শতভাগ বিদেশি মালিকানায় বিনিয়োগের সুবিধা আছে।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, হাইটেক পার্কগুলোতে অফিস রেডি, রেল ও উন্নত সড়ক যোগাযোগ রেডি। হাই স্পিড নেট, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা, গ্যাস সরবরাহ ও চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখনই বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। কোভিডের কারণে সারা বিশ্ব যখন স্থবির, তখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আস্থা রেখে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ এসেছে। একজন বিনিয়োগকারী ফোন করেছিলেন, তারা বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য জায়গা চায়।’
ঢাকা/হাসান/রফিক
আরো পড়ুন