শুভ জন্মদিন দিলরুবা আহমেদ
দিলরুবা আহমেদ। এ সময়ের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। স্বামী ইমতিয়াজ আহমেদ ও একমাত্র সন্তান শুমাইসা আহমেদকে নিয়ে বর্তমানে ডালাসে (টেক্সাসে আইটি ফিল্ডে কর্মরত) বসবাস করছেন। প্রবাসে থেকেও লেখালেখি করে যাচ্ছেন অবিরত।
আজ ১৩ নভেম্বর তার জন্মদিন। তার অধিকাংশ লেখাই প্রবাসভিত্তিক। জন্মদিন উপলক্ষে রাইজিংবিডিকে জানিয়েছেন নতুন বই ও লেখালেখি নিয়ে নানা কথা। দিলরুবা আহমেদ বলেন, ভাবছি কি করে আরো লেখা যায়। থাকি তো বিদেশে। এসে যায় তাই প্রবাস জীবন। প্রবাস নিয়েই হয়তো আরো লিখে যাবো। দেশে যারা আছেন তারা হয়তো অদেখা দেশ নিয়ে পড়তে জানতে ভালোবাসবেন ।
দিলরুবা আহমেদ বলেন, অনেক আগে জন্মেছি তো তাই ভুলে গেছি কবে জন্মেছি। কোথাও নতুন কারো সাথে পরিচিত হলে প্রথমেই জানতে চায়, হয় দেশ কোথায় অথবা কবে এসএসসি দিয়েছিলাম। খুব রাগ লাগে তখন আমার। আমার বয়স জেনে কী হবে। মেয়েদের বয়স জানতে চাইতে নেই।
তিনি বলেন, ‘১৩ নভেম্বর ডালাসে থাকবে। তার মানে অফিস করে দিন পার করতে হবে। অফিস থেকে বের হতে না হতেই সন্ধ্যা আর ঠান্ডা। এই দেশে কে আর আমাকে উইস করবে! না ঠিক বললাম না। অফিসে গিয়ে দেখবো আমার কিউব বেলুন দিয়ে সাজানো। কেক ও আনবে অফিসের লোকজন। আমাকে সারপ্রাইজ দিতে চাইবে। কিন্তু আমি আগেই জানি এসব হবে। রাতে আমার বর আমাকে নিয়ে যাবে কোথাও ডিনার করাতে কোনো ভালো রেস্টুরেন্টে। একঝাঁক অভিনন্দন থাকবে ফেসবুকজুড়ে। তবে খুবই কেয়ারফুলি কেয়ারলেস ভাবভঙ্গি করে যার ফোনের অপেক্ষায় থাকব, সে আমার মেয়ে শুম শুম। শুম পাখির ফোন পেলেই আমার জন্মদিনের সব উৎসব যেন পূর্ণ হয়ে গেল।
তিনি বলেন, আমি জীবনের বহুবার শুনেছি ১৩ তারিখ আনলাকি। কিন্তু আমি ১৩ সংখ্যাটিকে ভালোবাসি। বেশ ভালোবাসি। এটি যে আনলাকি সংখ্যা নয় তাই যেন প্রমাণের দায়িত্ব আমার। এমন ভেবেছি বহুবার, আমার জনক জননী সেভাবেই আমাকে বুঝিয়েছিলেন। বড় করে তুলেছিলেন। জীবনও তাদের দোয়ায় কেটে যাচ্ছে সৌভাগ্যবতী হয়েই আনন্দের সাথে।
দিলরুবা আহমেদ বলেন, আগামী বইমেলায় আমার যে উপন্যাস বের হবে সেটি হচ্ছে ‘টেক্সান রানী ও ব্লু বনেট’। একটি পাঁচ ছয় বছরের বালিকা। এই আমেরিকায় মিশ্র সংস্কৃতিতে মেয়ে বড় করতে গিয়ে মায়েদের যে ভাবনাগুলো তাই তুলে ধরা হয়েছে এখানে।
দিলরুবা আহমেদ এর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে, ‘ব্রাউন গার্লস’, গ্রিনকার্ড’। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হলো টেক্সাস টক, আমার ঘরে এসো, আঠার, ঝুমকালতার সারাটা দিন, হেঁটে চলেছি বন জোছনায়, মাছের মায়ের পুত্র শোক, এসো হাত ধরো, বলেছিল, প্রবাসী।
ঢাকা/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন