ওয়াশিংটন ডিসিতে রাবি এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বনভোজন
নিজস্ব প্রতিবেদক, যুক্তরাষ্ট্র || রাইজিংবিডি.কম
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম বনভোজন ও মিলনমেলা।
গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) ওয়াশিংটন ডিসির গ্রোয়েন থমসন ব্রাইয়ার প্যাচ পার্কে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় এ বনভোজনে রাবির সাবেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ তাদের পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্য অংশ নেয়।
জীবনের তারুণ্যদীপ্ত সময়টুকু কেটেছে যে ক্যাম্পাসে। সেই ক্যাম্পাসের বন্ধু অথবা শিক্ষকের সাথে যখন মিলিত হওয়ার সুযোগ মেলে, তখন জীবনটা হয়ে উঠে আনন্দময়। সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ফিরে যায় স্মৃতির পাতায়। রোমান্থিত হয়ে উঠে জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা ভেবে। কথাগুলো বলছিলেন ওয়াশিংটনডিসিতে অবস্থানরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ড. সাদ আহমেদ।
তিনি জানান, টানা দুই ঘণ্টা লং ড্রাইভ করে মিলন মেলায় এসেছে। তবে জার্নিতে ক্লান্তি থাকলেও, মানসিক স্বস্তির কাছে সেই ক্লান্তির কোনো চিহ্ন ছিল না। আছে মিলনমেলায় অংশ নেওয়ার তীব্র ভালো লাগার অনুভূতি।
করোনায় ঘরবন্দি মানুষের জীবনে একচিলতি প্রশান্তি ছড়াতে ও পরস্পারিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সকাল ১০ থেকে শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাবির সাবেক শিক্ষার্থীরা মতিহার জীবনে ফেলা আসা ক্যাম্পাসের টুকিটাকি চত্বর, প্যারিস কিংবা তুতবাগানসহ শ্রেণি কক্ষের নানা স্মৃতিচারণ করেন। তারা আবারও ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে যাওয়ার আকুতি ব্যক্ত করেন।
অংশগ্রহণকারীরা বলেন, একেক জনের ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের থাকলেও, ক্যাম্পাসের স্মৃতি সকলের এক রকম। তাই ওয়াশিংটনের বুকে ক্যাম্পাসের শিক্ষক, বন্ধু, বড়-ছোট সবাইকে পেয়ে স্মৃতিতে ফিরে গেলাম।
রাবির সাবেক রেজিস্টার ড. মোহাম্মদ এন্তাজুল হক বলেন, ‘ওয়াশিংটনে রাবির এত শিক্ষার্থীকে দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। খুবই গর্ব হচ্ছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক রাবির এলামনাই হতে যাচ্ছে দেখে। এই সংগঠনের সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’
মিলনমেলার প্রথমে ছিল পরিচিতি পর্ব, পরে স্মৃতিচারণ, খাওয়া দাওয়া ও কোট কাটার আয়োজন। দিনভর উৎসবে সাংস্কৃতিক পর্বে গান পরিবেশ করেন জুয়েল বড়ুয়া, লাবণ্য হসনাসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন, ওয়াশিংটন ডিসির উদ্যোক্তা সাংবাদিক জাহিদ রহমানকে এলামনাইয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন রাবির সাবেক শিক্ষক ড. মুশফিকুর রশিদ।
মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন রাবির সাবেক রেজিস্টার ড. মোহাম্মদ এন্তাজুল হক, ড. আশরাফ আহমেদ, ড. মুশফিকুর রশিদ, ড. আতিয়ার রহমান, ড. নজরুল ইসলাম, ফিরোজ, ড. সাদ আহমেদ কবির, নাজরিন জাওরদার, ফাতেমা সিদ্দিক, জেসমিন কবির, খানম তুহলফা হক, আশরাফুন নেছা (লিপি), আরিজা মাহিদ (টিবা), সালমা রহমান, ড. ইয়াসমিন, শামিমা আহমেদ, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম, মোজাম্মেল হোসেন (জিল্লু), মোহাম্মদ আজাদ, আজিজুর রহমান, হিমু, কার্ত্তিক, কাইকোবাদ ও সুমনসহ ৩৫ জন রাবির সাবেক শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠান সঞ্চলনায় ছিলেন আবু জাফর, কাজি ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন এবং জাহিদ রহমান।
আয়োজকরা জানান, তাদের অন্যতম লক্ষ্য হবে ওয়াশিংটনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ এলে তাকে সহযোগিতা করা। একইসঙ্গে সংগঠনটি কমিউনিটির কল্যাণে ও শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে কাজ করতে চায়।
ওয়াশিংটনে পথচলা শুরু হওয়া রাবি এলামনাইকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটির হাত ধরে প্রসার লাভ করবে এলামনাইয়ের।
কমিটির সদস্যরা হলেন- জেসমিন কবির, ড. ফরিদা ইয়াসমিন, কাজী ওয়াহিদুজ্জামান স্বপন, মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম, আজিজুর রহমান, সুমন, জাহিদ রহমান।
উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হয়েছেন রাবির সাবেক রেজিস্টার ড. মোহাম্মদ এন্তাজুল হক, ড. মুশফিকুর রশিদ, ড. আশরাফ ও ইঞ্জিনিয়ার ড. নজরুল ইসলাম।
ছাবেদ সাথী/সনি
আরো পড়ুন