যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখান হানিপ
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মবাজারে নিজেকে যোগ্য করবে, সেই বিষয়ে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি- ডব্লিউইউএসটির (পূর্বনাম আইগ্লোবাল ইউনিভার্সিটি) প্রতিষ্ঠাতা ও চ্যান্সেলর, আবুবকর হানিপ।
তিনি বলেন, ‘নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মজগতকে যতোটা বুঝতে পারি, যুক্তরাষ্ট্র এখন দক্ষ মানুষের দেশ। এখানে দক্ষদের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।’
সোমবার (১৬ মে) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ'র উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ-পরবর্তী এক অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে নিজের জীবনের গল্পটি শেয়ার করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পিপলএনটেকের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছিলেন নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি এবং অন্য দেশের শিক্ষার্থী- প্রশিক্ষনার্থীরাও।
আবুবকর হানিপ কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে তার গল্পটাই সকলে শুনতে চান। কারণ, তিনি ইতোমধ্যে একজন সফল বাংলাদেশি আমেরিকান হিসাবে সেখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে পরিচিতি লাভ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ, সংগ্রাম ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা ছিল অনুষ্ঠানের মূল্য প্রতিপাদ্য। আবুবকর হানিপ, পিপলএনটেক'র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, এনআরবিকানেক্ট টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ছিলেন এই আয়োজনের কি-নোট স্পিকার।
ইঞ্জিনিয়ার হানিপ বলেন, ‘তার অনুপ্রেরণায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসি বাঙালি পরিবার যারা একসময় কেউ কেউ ছিলেন ইয়ালো ক্যাব চালক; যারা ধীরে ধীরে একজন করে আইটি প্রফেশনালে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং সে প্রক্রিয়ায় একটি বড় অবদান রেখে চলেছে তারই প্রতিষ্ঠিত পিপলএনটেক। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অন্তত ৭ হাজার বাংলাদেশি আজ আইটি প্রশিক্ষিত হয়ে চাকরির বাজারে ড্রিম জব করছে। যার প্রায় সবগুলোই সিক্সডিজিট প্লাস এর চাকরি।
তিনি জানান, তার পরিচালনায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি- ডব্লিউইউএসটি-ও একটি দক্ষতানির্ভর শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে এগুচ্ছে, যা এখানকার সকল শিক্ষার্থীদের একটি ডিগ্রির পাশাপাশি সময়ের সবচেয়ে আগুয়ান ও চাহিদাসম্পন্ন বিষয়গুলোতে দক্ষ করেই যুক্তরাষ্ট্রের কর্মবাজারে এগিয়ে দেবে। এতে করে এখানকার প্রতিটি শিক্ষার্থী সেই একই রকম সিক্সডিজিট আর্নার হতে পারবে তাদের শিক্ষাপরবর্তী কর্মজীবনের শুরু থেকেই।
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষ জনবল চায় উল্লেখ করে হানিপ বলেন, ‘নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মজগতকে যতোটা বুঝতে পারি, যুক্তরাষ্ট্র এখন দক্ষ মানুষের দেশ। এখানে দক্ষদের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। আর সেই সম্ভাবনা থেকেই ডব্লিউইউএসটি তার শিক্ষার্থীদের দক্ষ করেই কর্মজগতে পাঠানোর প্রয়াস নিয়েছে। এবং শিগগিরই এই ঘোষণায় যাচ্ছে যে- নো জব নো টিউশন। অর্থাৎ ডব্লিউইউএসটির গ্রাজুয়েটরা চাকরিবাজারে সুযোগ না পেলে তাদের টিউশন ফি-ই ফেরত দেবে বিশ্ববিদ্যালয়।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন থার্টিসিক্সথ অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্টএর অ্যাসেম্বলি সদস্য জোহরান কে মামদানি, নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলর সিডি ২৫ শেখর কৃষ্ণাণ, নিউইয়র্ক ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক ভৈরবী দেশাই, নিউইয়র্ক ডেমোক্রেটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এট লার্জ মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ এন মজুমদার, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য মফিজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, অরগানাইজিয় সোসাইটি অ্যাট ডিআরইউএম-এর পরিচালক কাজি ফৌজিয়া, অ্যাস্টোরিয়া সোসাইটি ইউএসএ'র সাধারণ সম্পাদক মো. জায়েদ উদ্দিন, বাংলাদেশি কমিউনিটি লিডার জামাল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘আবুবকর হানিপ নিজেই এখন নিজের পরিচয় এবং তিনিই এখন প্রবাসি বাংলাদেশিদের অন্যতম অনুপ্রেরণা। তার নেতৃত্বে একটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে, যা প্রতিটি মানুষের গর্ব।’
পারভেজ/আমিনুল
আরো পড়ুন