আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে কানাডায় প্রবাসীদের শোক
আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা থেকে || রাইজিংবিডি.কম
আবদুল গাফফার চৌধুরী। ফাইল ফটো
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কানাডার বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত প্রবাসীরা।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, বাঙালি জাতি একজন প্রগতিশীল, সৃজনশীল লেখক ও বুদ্ধিজীবীকে হারাল। যা কখনোই পূরণ হবার নয়।
কানাডার ‘নতুন দেশ’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, ‘খ্যাতিমান সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশ বিরোধীদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রবাসে থেকেও নিজের লেখনীর মাধ্যমে তিনি মুক্তবুদ্ধি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের স্বপক্ষে জনমত গড়ে তুলেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোনোভাবেই পূরণ হবার নয়।’
ক্যালগেরির এবিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ বাতেন বলেন, ‘তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ সৃজনশীল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষকে হারাল। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
বিশিষ্ট কলামিস্ট উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, ‘নিপীড়িতদের আশ্রয়স্থল কলম সৈনিক গাফফার চৌধুরীর চিরবিদায় জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রশ্নে এমন নির্ভীক, নিঃস্বার্থ, স্পষ্টবাদী লেখক ও সময়ের শ্রেষ্ঠ কিংবদন্তি আপোষহীন কলম সৈনিকের জীবনাবসান, বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
অন্টারিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মাসুদ বলেন, ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকলেও দেশ ও সমাজের প্রয়োজনে সব সময় তিনি বাংলাদেশের মানুষের পাশে থেকেছেন। বাংলাদেশের জন্য তার অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। বিশেষ করে কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র মধ্য দিয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালি জাতির মাঝে।’
সিবিএনএ২৪ এর প্রধান সম্পাদক সাদেরা সুজন বলেন, ‘তিনি বেঁচে থাকবেন আমাদের হৃদয়ে। তার মৃত্যু বাঙালি জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
ক্যলগেরীর প্রবাসী লেখক বায়াজিদ গালিব বলেন, ‘কালের সাক্ষী আব্দুল গাফফার চৌধুরীর চির বিদায় বেদনাদায়ক। তার রচিত একুশে ফেব্রুয়ারির কালজয়ী গানের মাঝে তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালি হৃদয়ে।’
সিলেট এসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির সভাপতি রূপক দত্ত বলেন, ‘একে একে আমরা সব গুরুজনদের হারাচ্ছি। তাদের স্থান দখলকারী উত্তরসূরির অভাব থেকেই যাবে। মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কিরণ বণিক শংকর বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের নানা বাঁক বদলের সাক্ষী গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
কানাডার আলবার্টার প্রথম অনলাইন পোর্টাল প্রবাস বাংলা ভয়েস এর প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুল বলেন, ‘মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। আমাদের মানতেই হবে। আবদুল গাফফার চৌধুরী তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের হৃদয়ে সারাজীবন বেঁচে থাকবেন। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
কেআই
আরো পড়ুন