জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার কথা শুনে উচ্ছ্বসিত কুয়েত প্রবাসীরা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা কোটি প্রবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি- ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) প্রদান। কুয়েত প্রবাসীরাও এ দাবিটি জানিয়ে আসছিলেন। এবার কুয়েত প্রবাসীদের সেই কাঙ্খিত দাবি পূরণের কথা জানালেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি।

সম্প্রতি কুয়েত দূতাবাস কর্তৃক ‘এনআইডি’ প্রত্যাশীদের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়ার একটি বিজ্ঞপ্তি দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন প্রবাসীরা। পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, প্রবাসীরা এমআরপি ৫ বছর ও ই-পাসপোর্ট ৫ কিংবা ১০ বছর মেয়াদি করার সুযোগ পাবেন। তবে কুয়েত দূতাবাস ই-পাসপোর্ট প্রদানের প্রক্রিয়া এখনও শুরু করেনি।

এদিকে এনআইডি অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এনআইডি পাওয়া গেলে ২২টি সেবা প্রবাসীরা পাবেন। এটি প্রবাসীদেরকে পাইয়ে দিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এনআইডি নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য অনলাইন-অফলাইন দু’টাতেই সুযোগ রাখা হয়েছে। যে কেউ অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারেন কিংবা দূতাবাসে এসেও এ কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে নিবন্ধনের লিংকটি দেওয়া হয়েছে, প্রবাসীরা যেনো এই লিংক ফরমটি পূরণ করেন। এই লিংক পূরণ করার মানে এই নয় যে, এটি ‘এনআইডি’ প্রক্রিয়া সম্পন্নের একটি অংশ। এখানে নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কতজন প্রবাসীরা এনআইডি প্রাপ্তির আবেদন করেন সেটি পর্যালোচনা করেই ‘এনআইডি’ প্রদানের কাজে হাত দিবেন সংশ্লিষ্টরা।”

এদিকে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে রেজিস্ট্রেশন টিম প্রেরণের মাধ্যমে কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকগণকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের কাজ সম্পাদন করবে। রেজিস্ট্রেশন টিম ২০ থেকে ২১ দিন কুয়েতে অবস্থান করবেন এবং কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশির (যাদের এনআইডি কার্ড নেই) সংখ্যার ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ‘এনআইডি’ প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দূতাবাসেই পরিচালিত হবে।