ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

মুহাম্মদ শাহ জাহান, ইউএই || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৮, ৬ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ১৫:২০, ৬ আগস্ট ২০২২
আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সম্মানিত রাষ্ট্রদূত আবু জাফর। উক্ত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তার, কর্মচারীসহ বাংলাদেশ বিমান এবং জনতা ব্যাংকের প্রতিনিধি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ স্কুলের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতঃপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরবর্তী সময়ে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবনের ওপর প্রমাণ্যচিত্র ‘এক আলোর পথযাত্রী- শেখ কামাল’ প্রদর্শীত হয়।  বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সুধীজন বাংলাদেশের উন্নয়নে তার অবদানের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের সুদূরপ্রসারী ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অভিযাত্রায় তার প্রদর্শীত পথ, আদর্শ এবং দিক-নির্দেশনা আজও এক অনুকরণীয় মডেল বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত মহোদয় তার বক্তব্যে বলেন, ‘বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বাংলাদেশের সকল স্বাধিকার আন্দোলনে অংশগ্রহণসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে শেখ কামালের অবদান অনস্বীকার্য।’

রাষ্ট্রদূত মহোদয় শেখ কামাল এর উচ্চ চিন্তার কিন্তু সাধারণ জীবনযাপনের আদর্শ অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সর্বশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

হাসান/মারুফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়