ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

লোকসান কাঁধে নিয়েই ইরি আবাদ করছেন কৃষক

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ২৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লোকসান কাঁধে নিয়েই ইরি আবাদ করছেন কৃষক

নোয়াখালীর চরের কৃষকরা গত আমন মৌসুমে বিঘা প্রতি দুই থেকে তিন হাজার টাকা লোকসানের মুখে পড়েন।

এ লোকসানের ভার কাঁধে নিয়ে চলতি মৌসুমে ইরি ধান রোপন শুরু করেছেন তারা। গত সপ্তাহ থেকে ধান রোপন শুরু করেছেন কৃষকরা।

জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক বছর নানা দুর্যোগের কারণে কৃষকদের লোকসান পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পারায় চরমভাবে লোকসান হচ্ছে।

গত আমন মৌসুমে শুরুতে ধানে তেমন কোনো রোগ বালাই ছিল না। তবে ধানের শীষ আসার সময় রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে ফলনে বির্পযয় দেখা দেয়। এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত দামে ধান বিক্রি করতে না পারায় বিঘা প্রতি প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা লোকসানের কবলে পড়েন কৃষকরা। আর সেই  লোকসানের ভার কাঁধে নিয়েই ইরি ধান রোপন শুরু করেছেন তারা।

সুবর্ণচরের চর ওয়াপদার কৃষক আমির হোসেন বলেন, বাবা- দাদার প্রধান পেশা ছিল কৃষি। এটা ছাড়া অন্য কিছু করতেও পারি না। আমরা ধান উৎপাদন না করলে ভবিষ্যতে চালের দামও পেঁয়াজের মতো হয়ে যাবে।

জেলার সদর উপজেলার আন্ডারচরের কৃষক ফজলু মিয়া, আকবর আলী, কাদির হানিফ গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীনসহ অন্যান্য কৃষকরা বলেন, এ জেলা কৃষি নির্ভরশীল এলাকা। আমাদের প্রধান কর্মই কৃষি। লোকসান হোক আর লাভ হোক আমাদের ধানের আবাদ করতে হবে।

তবে সারের দাম কমিয়ে দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে কৃষকদের বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে জেলার কৃষি কর্মকর্তা ড. আবুল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার নয় উপজেলায় প্রায় ৬৪ হাজার ৭৪৭ হেক্টর জমিতে ইরি ধান রোপনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ধান রোপন শেষ হবে।

 

মাওলা সুজন/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়