পেঁয়াজ চাষিদের জন্য সুখবর
সাকিরুল কবীর রিটন || রাইজিংবিডি.কম
কৃষককে আর বীজ হিসেবে পেঁয়াজের বাল্ব বা কন্দ ব্যবহার করতে হবে না। সরাসরি বীজ বপন করেই অল্প খরচে মান সম্মত পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারবেন তারা।
পেঁয়াজ চাষিদের জন্য এই সুখবর আনলেন যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। আর এজন্য বিপুল পরিমান বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রতিবছরই দেশে পেঁয়াজের যে সংকট দেখা দেয় এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে পেঁয়াজের বীজ সংকট ও সংরক্ষণের অভাব।
আমাদের দেশের কৃষকরা পেঁয়াজের বাল্ব বা কন্দ চারা হিসেবে ব্যবহার করে চাষ করে থাকেন। যে কারণে বিঘাপ্রতি জমিতে ২শ কেজি বাল্ব বা কন্দ ব্যবহার করতে হয় তাদের। এতে কেজি ২শ টাকা ধরা হলে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও খরচের ভয়ে পেঁয়াজ চাষ করতে চাননা চাষিরা। অথচ এক বিঘা জমিতে ৫শ ৫০ গ্রাম বীজ বুনলে খরচ হয় মাত্র ১ হাজার ৮শ টাকা।
কৃষকের পেঁয়াজ চাষকে সাশ্রয়ী ও লাভজনক করে তুলতে যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা মানসম্মত পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানালেন গবেষণার সাথে যুক্ত এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, এক বিঘা জমিতে চাষ করতে যেখানে ৫ থেকে ৬ মন পেঁয়াজের বাল্ব বা কন্দ লাগে। সেখানে এক কেজি বীজ দিয়ে ৫ থেকে ৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা সম্ভব। ফলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ চাষের পরিমান বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওসার উদ্দীন আহম্মদ জানান, পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের বিষয়ে কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা।
বারি পেঁয়াজ-১ হারভেস্ট করার পর বীজ আকারে খুব দ্রুত সময়ের ব্যবধানে সহজ শর্তে কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান এই কৃষি বিজ্ঞানী।
যশোর/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন