ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পূরাকীর্তির রাজধানী পুঠিয়া

|| রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩   আপডেট: ০৮:৪৫, ১১ আগস্ট ২০২০
পূরাকীর্তির রাজধানী পুঠিয়া

নাসির উদ্-দ্বীন

শিক্ষা নগরী রাজশাহীর প্রবেশ দ্বার পুঠিয়া। প্রত্ননির্দশনের জীবন্ত জাদুঘর। কৃষ্ণের রাসলীলা, কুরক্ষেত্রের যুদ্ধ, রামরাবনের যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করা যায় এখানকার টেরা কোটা সমৃদ্ধ বিভিন্ন স্থাপনায়। টেরা কোটার নিখুঁত কাজগুলো পর্যটকদের পুঠিয়া ভ্রমনে দারুণভাবে আকর্ষণ করে।

পুঠিয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:

পদ্মাপাড়ের বাংলায় রাজা জমিদারদের জমিদারিতে ব্যাপ্ত ছিল। পুঠিয়ার তার মধ্যে অন্যতম। সাধক বৎসাচার্য্যের পূত্র পিতাম্বর রাজবংশের গোড়াপত্তন করেন। প্রায় চার শত বছর রাজবংশ (১৫৫০-১৯৫০) স্থায়ী ছিল। পিতাম্বরের অনুজ নীলাম্বর পুঠিয়া রাজবংশের প্রথম রাজা। সম্রাট জাহাঙ্গীরের নিকট থেকে নীলাম্বর রাজা উপাধি লাভ করেন। জমিদারির ব্যাপ্তি ছিল রাজশাহী, বগুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদীয়া, মালদহ, উত্তরদিনাজপুর, দক্ষিণদিনাজপুর, ময়মনসিং, টাঙ্গাইল ও ঢাকার কিছু অংশ।  

সামন্তরাজের রাজধানী পুঠিয়া একটি উপজেলা। ১৮১৩ খ্রিঃ ৫টি থানার সমন্বেয়ে পুঠিয়া সার্কেল গঠিত হয়। ১৮৫৯ খ্রিঃ পুঠিয়া থানা গঠিত হয়। আয়তন ৭৫ বর্গমাইল। নারোদ, হোজা, সুন্দর, পাবলাই, রাঁয়চান, নিশানিশি, মুছাখান, শোকা, সন্ধামনি, বারনাই উপজেলার উল্লেখযোগ্য নদ-নদী। অবস্থান জেলা শহর থেকে ৩০কিঃ মিঃ পূর্বে। ঢাকা – রাজশাহী মহাসড়কের পার্শ্বে।

কিংবদন্তি আছে যে, চাঁদ সওদাগরের উর্দ্ধতন চতুর্থ পুরুষ ধনপতি সওদাগর বাস করতেন পুঠিয়ায়। ধনপতিকে কেন্দ্র করে রচিত চন্ডিমঙ্গল কাব্য ও কমলেকামিনী নাটক। বর্তমানে উপজেলার নন্দনপুর, শাহবাজুর কাশিমপুর গ্রামে ধনপতির স্মৃতি দেখা যায়।

পূরাকীর্তি সমুহ:

সহস্র বছরের জনপদ পুঠিয় পূরাকীর্তি সমৃদ্ধ। বিশেষ করে মন্দিরগুলো পর্যটকদের কাছে বেশি আকর্ষণীয়। এগুলো পিরামিড, পঞ্চরত্ন, একরত্ন, চৌচালা, একবাংলা ও জোড়া মন্দির শ্রেণীভূক্ত। উল্লেখযোগ্য পূরাকীর্তি পাঁচ আনি বড় শিব মন্দির, পাঁচআনি রাজপ্রাসাদ, গোবিন্দ মন্দির, আহ্নিক মন্দির, রথমন্দির, দোলমন্দির, চারআনি রাজপ্রাসাদ, চারআনি গোবিন্দ মন্দির, চারআনি আহ্নিক মন্দির, চারআনি শিব মন্দির, চারআনি গোপাল মন্দির, বনদূর্গারদ মন্দির (সাজার বাড়ি), কৃষ্ণপুরের শিবমন্দির ও গোপাল মন্দির। এছাড়াও পুঠিয়ায় ছড়িয়ে আছে অনেক মঠ। ধ্বংশ ও ধ্বংশপ্রায় অনেক পূরাকীর্তি। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের তথ্য থেকে জানা যায়, বছরে দশ হাজারের অধিক বিদেশী পর্যটক পুঠিয়ায় আসেন।

পাঁচ আনি বড় শিব মন্দির:

এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিব মন্দির এটি। রানী ভুবনমোনদেবী শিব মন্দিরটি নির্মান করান। মন্দিরের গাত্রলিপি থেকে জানা যায়, এটি নির্মানে সময় লাগে সাত বছর (১২৩০বঙ্গঃ Ñ১২৩৭বঙ্গঃ ১৪ বৈশাখ )। শিব মন্দির টি পিরামিড ও পঞ্চরত্ন আকারের। মন্দিরটির উপরিভাগে ৫ টি রত্নে ১৭৭ টি চূড়া আছে। প্রতি টি চূড়ার মাথা পিতলের প্রলেপ দিয়ে বাঁধানো। ছোট চারটি রত্নে ১৭ টি করে চুড়া ও আট টি করে মনষা দেবীর চিত্র আছে। বড় রত্নটিতে ১০৯ টি চুড়া আছে।

মন্দির টি দুই ভাগে বিভক্ত। মোট উচ্চতা ২৮মিটার (৯২ফুট)। দৈর্ঘ্য পূর্ব-পশ্চিমে ১৯.৯৯মিটার। প্রস্থ উত্তর-দক্ষিনে ১৯.৭৮ মিটার। এর বহিরাঙ্গান ২০টি থামের উপর দাঁড়িয়ে। ভেতর কক্ষের দেয়াল হতে চর্তুর দিকে বারান্দাতুল্য ৪.৫৪ মিটার প্রস্থ। মন্দিরের গায়ে চুন সুড়কির তৈরি অনেকগুলো মূর্তি রয়েছে। মন্দিরের সম্মুখ ভাগে ৯ মন ওজনের পিতলের জলঘড়ি ছিল।  জলঘড়ি টি থেকে দণ্ড প্রহর ঘোষিত হতো। 

মন্দির অভ্যন্তরে শিব লিঙ্গ অবস্থিত। লিঙ্গটির উচ্চতায় ১.৮৩ মিটার ও ৩.৮০ মিটার ব্যাস। কালো রঙ এর পাথর দিয়ে নির্মিত। শিব মন্দিরে নিয়মিত পূজা আর্চনা হয়। এখানে প্রতিবছর একবার নগ্ন পদযাত্রায় হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। শ্রাবন মাসের শেষ সোমবার নগ্ন পদযাত্রা অনুষ্টিত হয়।

পাঁচ আনি রাজপ্রাসাদ:

মহারানী হেমন্ত কুমারী দেবী ১৮৯৫ খ্রীঃ প্রাসাদটি নির্মান করেন। শাশুড়ি মহারানী শরৎসুন্দরী দেবীর সম্মানার্থে। পাঁচআনি রাজপ্রাসাদের দুটি সিংহ দ্বার। পশ্চিম সিংহ দ্বার অন্দর মহলে প্রবেশ পথ। পূর্ব দিকের  সিংহ দ্বার গোবিন্দ বাড়ির প্রবেশ পথ। পাঁচআনি রাজপ্রাসাদের বেশির ভাগ কক্ষ ধ্বংশ প্রায়।

প্রাসাদ টি প্রায় ৬০ একর যায়গায় অবস্থিত। ৩০ একর জলাশয় বেষ্টিত দাড়িয়ে এ প্রাসদ। স্থানীয়রা এসব জলাশয়কে দিঘী বা চৌকি বলে। রাজপ্রাসাদকে বেষ্টন করে আছে শিবচৌকি, গেবিন্দসাগর, হুগলা, বাঁকাচৌকি, গোপাল চৌকি, মরাচৌকি। প্রত্যেক জলাশয়ে একাধিক ঘাট আছে। সংস্কার অভাবে ঘাট গুলি ধ্বংশ প্রায়। প্রাসাদের সামনেই অবস্থিত দিঘী শ্যামসাগর । আর প্রাসাদটির সামনে রয়েছে প্রাচির ঘেরা পাঁচ আনি মাঠ। পূর্ব পাকিস্থানের প্রথম চিফ হুইপ শচীন্দ্র নারায়ন স্যান্যাল। পাঁচআনি রাজ পরিবারে সন্তান তিনি। ১৯৫০ সাল পর্যন্ত প্রাসাদে পরিবার নিয়ে বসবাস করেছেন। প্রাসাদের পুরাতন অন্দর মহলের শয়নকক্ষ; আসবাবপত্রসহ বহু মূল্যবান নির্দশন বিলুপ্ত হয়ে গেছে।  

পাঁচ আনি গোবিন্দ মন্দির:

গোবিন্দ মন্দির পিরামিড,  পঞ্চরত্ন এবং চৌচালা বিশিষ্ট । অপরূপ প্রত্ননিদর্শন টি নির্মান হয় শতের শ` শতকের শেষ দিকে। প্রেম নারায়ন স্যান্যাল গোবিন্দ মন্দির নির্মান করেন। দৈর্ঘ্যে পূর্ব-পশ্চিমে ১৪.৩৭ মিটার। প্রস্থ উত্তর- দক্ষিণে ১৪.১৬ মিটার। মূল মন্দিরটির দৈর্ঘ ১২.৫০ ও প্রস্থ ১২.৪৮ মিটার। দুই ভাগে বিভক্ত গোবিন্দ মন্দির। বহির ভাগে চারটি ছোট কক্ষ আছে। দেতালায় চার কক্ষের উপর চারটি রত্ন নির্মিত হয়েছে। মূল মন্দিরের চার দেয়ালের উপর বৃহৎ রত্নটি নির্মিত।

প্রতিটি রত্নই  চৌচালা ও একচূড়া বিশিষ্ট। ভেতরে প্রবেশের জন্য চতুরদিকে চারটি পথ আছে। সিঁড়ি দিয়ে দোতালায় উঠা যায়। মন্দিরের গায়ে অসংখ্য টেরাকোটা। বেশ কয়েক ধরনের টেরাকোটা দেখা যায়। রয়েছে বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিকৃতি, ফুল লতা গুল্ম আবার বিভিন্ন যুদ্ধ বিগ্রহের চিত্র। মন্দিরের ভেতরে রাধা গেবিন্দের বিগ্রহ আছে। এখানেও নিয়মিত পূজা আর্চনা হয়।

দোলমন্দির:

পিরামিড আকৃতির এক রত্ন বিশিষ্ট মন্দির। দোল মন্দির চতুরতলা বিশিষ্ট। দোল মন্দির উচ্চতায় ১৬.৭৫ মিটার। মন্দির টি ৬৪ টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। মন্দিরটি ১৭৭৮ খ্রিঃ রাজা ভূবেন্দ্র নারায়ন রায় নির্মান করেন। দোল মন্দির দৈর্ঘ্যে প্রস্থে ২১.৩৩ মিটার। মন্দিরে প্রবেশের জন্য চতুর্দিকে দরজা আছে। নিচতলায় চর্তুদিকে ৭ টি করে দরজা। দ্বোতালায় চর্তুদিকে ৫টি করে, তিন তলায় চর্তুদিকে ৩ টি করে, চতুর্থ তলায় চর্তুদিকে ১ টি করে দরজা আছে। আগে এখানে দোল  উৎসব হতো। মন্দিরটি প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর একবার সামান্য সংস্কার করেছিল। তারপর আর হয় নি।

আহ্নিক মন্দির

বাংলো আকৃতির আহ্নিক মন্দির। আনুমানিক শতের শ` শতকের মাঝামাঝি নির্মান হয় এটি। মন্দিরটি পাঁচআনি রাজপ্রাসাদের ভিতর অবস্থিত। উচ্চতা ৬.৭০ মিটার। উত্তর-দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ৭.৩০ মিটার। পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থ ৫মিটার। মন্দিরের পোড়া মাটির ফলক লিপি নোনাগ্রস্থ। ফলক লিপিটি অপাঠ্য প্রায়। মন্দিরের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দেয়াল বিরল টেরাকোটায় সজ্জিত। প্রতিটি টেরাকোটা অন্যটি থেকে আলাদা।

রথমন্দির:

বড় শিব মন্দিরের পূর্বে অবস্থিত। রথ মন্দির গোলাকৃত একচূড়া বিশিষ্ট দ্বিতল মন্দির। রথ মন্দির অনুমান আঠার‘শ খ্রীঃ নির্মিত হয়। এর পূর্ব ভিটায় টিনের বিশাল আটচালা ছিল। এটিই গুঞ্জ বাড়ি। রথযাত্রার সময় রাজবংশের কুলদেবতা নয় দিন যাবৎ এখানে অবস্থান করতো। গুঞ্জ বাড়িতে রথের সময় যাত্রা, পালাগান, মিছিল গান হতো। রথ মন্দির ও গুঞ্জ বাড়ি‘র জায়গায় দখলদারা বসবাস করছে এখন।

চারআনি রাজপ্রাসাদ:

চারআনি রাজপ্রাসাদ নির্মান হয় ১২৯৩ সনে। শ্যামসাগরের দক্ষিন-পশ্চিম কোনে আবস্থিত। বাঁকাচৌকির পূর্বে অবস্থিত। প্রাসাদে প্রবেশের পথে সিংহ দুয়ারের ফলক লিপি থেকে নির্মান সাল জানা যায়। অবৈধ দখলদাররা কিছুদিন পূর্বে তা ভেঙ্গে ফেলে। 

বনদূর্গার মন্দির (সাজার বাড়ি)

বনদূর্গার মন্দির(সাজার বাড়ি) রাজবংশের প্রতিষ্ঠালগ্নে নির্মিত। মন্দিরটি বিরল টেরাকোটায় সজ্জিত ছিল। বর্তমানে একটি মাত্র দেয়াল আছে। প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে এখানে চার দিন ধরে এখানো পূজা হয়। পূজা উপলক্ষে এখানে মেলা বসে।  

চার আনি গোবিন্দ মন্দির

চারআনি গোবিন্দ মন্দির চৌচালা ও একচূড়া বিশিষ্ট। উচ্চতায় ১০.৩৪ মিটার। দৈর্ঘ্য-প্রস্থে মন্দিরটি ৮ মিটার। মন্দিরে প্রবেশের তিনটি পথ আছে। পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে প্রবেশ পথ। মন্দিরের শরীর টেরাকোটায় সজ্জিত। টেরাকোটাগুলো রামায়ন মহাভারতের চিত্রলিপি। অনুমান সতের‘শ শতকে এর নির্মান। মন্দিরটির কিছু সংস্কার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর করেছে।


চারআনি আহ্নিক মন্দির:

চার আনি আহ্নিক মন্দির; চৌচালা ও জোড়া মন্দির শ্রেণীভূক্ত। মন্দিরে প্রবেশের জন্য সাতটি পথ আছে। পূর্বদিকে পাঁচটি প্রবেশের পথ। উত্তর ও দক্ষিণদিকে একটি করে দরজা আছে। সমগ্র মন্দির টেরাকেঠায় আচ্ছাদিত। কৃষ্ণের রাসলীলা, কুরক্ষেত্রের যুদ্ধ ও রামরাবনের যুদ্ধ টেরাকোটায় প্রত্যক্ষ করা যায়।               

একআনি শিব মন্দির

পুঠিয়া-আড়ানি সড়কের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত। টেরকোটায় সজ্জিত একআনি শিব মন্দির। মন্দিরে প্রবেশের জন্য একটি মাত্র পথ। মন্দিরটি দক্ষিণ দুয়ারী। মন্দির অভ্যান্তরে শিবলিঙ্গ ছিল। শিব লিঙ্গটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাছে সংরক্ষিত। এখানে বর্তমানে কোন পূজা অনুষ্ঠিত হয় না। চৌচালা ও একচূড়া বিশিষ্ট একতলা মন্দির।              

চারআনি গোপাল মন্দির:

চারআনি গোপাল মন্দির দ্বিতল। দ্বিতলে উটার জন্য পশ্চিম দিকে সিঁড়ি আছে। বর্তমানে মন্দির অভ্যন্তরে কোন বিগ্রহ নাই।

কৃষ্ণপুরের শিবমন্দির:

নির্মান সাল অজানা। বর্তমানে ভগ্ন প্রায় অবস্থ। কোনমতে নিজের অস্তিতের জানান দিচ্ছে।

কৃষ্ণ পুরের গোপাল মন্দির (মৈাত্রির মঠ)

গোপাল মন্দির কৃষ্ণপুর মৌজায় অবস্থিত। স্থানীয়রা এই মন্দিরকে মৈত্রির মঠ বলেন। প্রবেশের জন্য পূর্ব ও দক্ষিন দিকে পথ আছে। মন্দিরে বর্তমানে কোন বিগ্র নাই। টেরাকোটা চুরি হয়ে গেছে। নির্মান সাল অজ্ঞাত।

খিতিশ সিন্ধান্তের মঠ বা কৃষ্ণ পুরের শিব মন্দির:

এটিও কৃষ্ণপুর মৌজায় অবস্থিত। চৌচালা ও একচূড়া বিশিষ্ট। প্রবেশের জন্য পূর্ব দক্ষিণ দিকে পথ আছে। টেরাকোটায় সজ্জিত। দক্ষিণের প্রবেশ পথের উপরে ফলক লিপি আছে। নির্মান সাল ১৭১৭ সালে। ফলক লিপি থেকে জানা যায়, রাজা ভূবেন্দ্র রায় নির্মান করেন এটি। অভ্যন্তরের শিব লিঙ্গটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপত্তরের নিকট। একসময় এখানে সাধক খিতিশ সিন্ধান্ত বাস করতেন। আততায়ীর হাতে খুন হন খিতিশ সিন্ধান্ত। খুনের পর থেকেই জায়গা টি পরিত্যক্ত।
 
অবস্থান ও যাতায়াত:
রাজধানী  থেকে খুব সহজে যাতায়াত করা যায়।  বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে পুঠিয়া ৩০ কিঃ মিঃ পূর্বে আর নাটোর থেকে ১৮ কিঃমিঃ পশ্চিমে। পুঠিয়ার অবস্থান ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পার্শ্বে। ঢাকা থেকে সরাসরি বাস বা ট্রেনে আসা যায়। বাসে সরাসরি পুঠিয়ায় নামা যায়। ট্রেনে আসলে রাজশাহী বা নাটোর ষ্টেশনে নামতে হবে।  এখানে রাত্রীযাপনের কোন ব্যাবস্থা নাই। রাত্রিযাপন করতে হলে রাজশাহী বা নাটোরে করতে হয়।


রাইজিংবিডি২৪.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়