প্রবাস

যে শিশুরা রাসেল হবে

সালেম সুলেরী স-দিয়ে হয় সবুজ এবং স-য়ে স্বাধীনতা, বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক বিষণ্নতা। ব-দিয়ে হয় বাংলা এবং দ-দিয়ে ঠিক দেশ, দ-য়ে ব-য়ে মিলিয়ে হয় হিংসুটে বিদ্বেষ। র-দিয়ে হয় রাসেল এবং র-দিয়ে ঠিক রাত, র-দিয়ে হায় রক্ত এবং তুমুল রক্তপাত। ম-দিয়ে হয় মহা-মুজিব, ম-এ আছেন মা, আগস্ট মাসের পনেরোতে শিউরে ওঠে গা। গা ছমছম হত্যা খেলা, পরদেশিদের চর- শোকসাগরে ভাসিয়ে দিলো বাংলা মায়ের ঘর রক্ত দিলেন মহা-মুজিব, সপরিবার খুন, গর্ভে ভরা বাঙালিদের মুখে কালি চুন। যে দিয়েছে স্বাধীনতা, যে বোঝালো দেশ, তারই সাথে নফরমানী, হিংসা ও বিদ্বেষ! জ-দিয়ে হয় জাতির জনক, শ-দিয়ে হয় শেখ, সরে অ-তে অরুণিমা, অ-তে অভিষেক। অ-দিয়ে হয় অক্টোবরও, জন্মদিনের মাস, আঠারোতে শেখ রাসেলের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। কী বারতা জন্মদিনের, বেলুন কেকের দিন, বঙ্গরাজের সঙ্গশিশু, উৎসবে উড্ডীন। হাসলে রাসেল বাংলা হাসে, টোল পড়া গোল-গাল শৈশবে আর কৈশোরে ভর, জীবনটা উত্তাল। ইশকুলে যায়, পড়ায় লেখায় ধাপের পরে ধাপ, রাসেল ছিলো খুব সাধারণ, মেধাবী নিষ্পাপ। স্বপ্ন ছিলো মানুষ হবার, দীপ্ত দ্যুতিময়, কণ্ঠ ছিলো মন-ভেজানো, দারুণ শ্রুতিময়। রাসেল ছিলো সম্ভাবনা, দেশের ভবিষ্যৎ, দেশ-বিরোধী ঘাতকেরা তাই হেনেছে ক্ষত। ব-দিয়ে সেই বঙ্গ এবং ব-দিয়ে বিশ্বাস, ন-দিয়ে হায় নির্মমতা, নির্মমে নিঃশ্বাস। কী অপরাধ ঐ শিশুটির, স্বপ্নচারী বালক, রাসেল মানেই বাংলা শিশুর মুগ্ধ হাসি, আলোক, সেই হাসিটা অন্ধকারে, জ্বলবে আবার তাই, বলবে হেসে দেশ-বিদেশে লক্ষ রাসেল চাই। রাসেল মানে আর ভীতি নয়, এবার প্রতিবাদ, সংগঠনে সংগঠিত, মিডিয়া সংবাদ- দেশের পাশে বিদেশ বুকে মুষ্টিধরা হাত, আর পাবে না উদার সুযোগ আনতে কালো রাত। এখন কেবল সূর্যসেনা, ঘুরছে অবিরাম, সবার বুকে মুখে মুখে শেখ রাসেলের নাম।

 

সালেম সুলেরী : কবি ও সাংবাদিক, নিউইয়র্ক

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ অক্টোবর ২০১৬/সালেম সুলেরী/মুশফিক