প্রবাস

নাইজেরিয়ায় হাইকমিশনে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদ্‌যাপন

সচিবালয় প্রতিবেদক : নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযথ মর্যাদায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে। এতে অন্যরকম আকর্ষণ ছিল, বাংলা ভাষাকে সম্মান জানাতে সাত ভাষার শিল্পীদের অংশগ্রহণ। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি হাইকমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি,  প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। হাইকমিশন মিলনায়তনে ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একটি আলোচনা সভা ও বহু ভাষাভিত্তিক একটি বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নাইজেরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সভার শুরুতেই ভাষা শহীদদের এবং সম্প্রতি ঢাকার চকবাজারে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, দিবসটি সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য উদযাপনের একটি প্রেক্ষাপট তৈরী করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে ভাষা শহীদ ছাড়াও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণে পরিষদের অধিবেশনে তার বাংলায় বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, এই আন্দোলনের ধারাবাহিক অর্জনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা।  অনুষ্ঠানে আবুজায় ইউনেস্কোর ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক প্রতিনিধি মিজ্ আদেলে নিবুনা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে এক্ষেত্রে ইউনেস্কোর ভূমিকার কথা উল্লেখ করার সাথে সাথে বাংলাদেশি তরুণদের আত্মত্যাগের কথাও তুলে ধরেন। বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদেশি শিল্পীরা (বাংলাদেশ, চেক রিপাবলিক, ইরান, ভারত, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া-ʿইউরোবা ও ইংরেজি) এবং হাইকমিশনের পরিবার, স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে অংশ গ্রহণ করেন যা সবাইকে মুগ্ধ করে এবং একটি বহুভাষা-বহুজাতির সম্মিলনের বিরল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে ইরান ও মালয়েশিয়ার কূটনীতিকদের পরিবেশনাও নতুন একটি মাত্রা যোগ করে। নাইজেরিয়ার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, ভারত, কোরিয়া ও কেনিয়ার রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং ইরাকের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কূটনীতিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, পশ্চিমবংগের বাঙ্গালি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ মার্চ ২০১৯/হাসান/ইভা