প্রবাস

প্রযত্নে আরণ্যক

আকস্মিক হিমঝড় যেনো শাণিত তলোয়ার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিস্বাদ রাত্রির শরীরে। সহস্র আঘাতের চিহ্ন বয়ে নিয়ে বেড়ায় লিকারে ডুবানো শরীর।

আন্দ্রের সাদা বিড়ালটা অনবরত করুণ সুরে ডেকে কিছু একটা বোঝাতে চাইছে বোধহয়, আন্দ্রে আমার প্রতিবেশী...।

দেয়ালে সেঁটে আছে শরীরের একাংশ। মাথার ওপরে জানালার কাঁচে চাবুক হানছে সমুদ্র ছুঁয়ে আসা লোনা বাতাস। কখনো ফিসফিস করে জানিয়ে দেয় তোমার গোপন খবর। আবার  কখনো হিসহিস করে শাসিয়ে যাচ্ছে আমার অবোধিনী অভিমানকে...।

আধো ঘুমে জড়ানো চোখের পাতায় ঝাপসা হয়ে আসে রেলিঙে ঝুলন্ত শুকনো কাপড়ের দোল। বৃষ্টির ছাঁট লেগে আবারও হয়তো ভিজে যাবে। প্রবল আলসেমি অথবা নিস্তেজ আমাকে বিছানায় চেপে রাখে প্যারালাইজড রোগীর মতোন।

পৌনঃপুনিক ক্ষতের প্রতিষেধক নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে চক্রের ফাঁদে আটকে আছে দুস্থ নিঃশ্বাস তোমাকে অক্সিজেন ভেবে শুষে নিতে চেয়েছিলাম  সুস্থতার প্রভাবক হিসেবে ভুলে গিয়েছিলাম-  রডোডেনড্রন মনোহরণকারী ফুল হলেও তা বিষাক্ত!

আমি স্রষ্টাতে বিশ্বাসী। তিনি কী পারবেন না- তোমার পূর্ব নির্ধারিত জেদকে একটু নমনীয় করতে! অথবা তিনিও তোমার মতোই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কে জানে?

নায়িমা জাহান: লিসবন, পর্তুগাল পর্তুগাল/নায়িমা/সাইফ/নাসিম