প্রবাস

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ রহমান জর্জিয়ায় স্টেট সিনেটর নির্বাচিত

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে স্টেট সিনেটর পদে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন। দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হলেন তিনি।

ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হিসেবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নরক্রস, লিলবার্ন ও লরেন্সভিল নিয়ে গঠিত ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন শেখ রহমান। এর আগেও এই আসন থেকেই সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

এবারের নির্বাচনে শেখ রহমানের বিরুদ্ধে রিপাবলিকানদের কোনো প্রার্থী না থাকলেও নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতার জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে জর্জিয়া নির্বাচন বোর্ড।

নির্বাচন পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় শেখ রহমান বলেন, ‘সকল প্রবাসীদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞ। সবার আশীর্বাদে বিজয়ী হওয়ার মধ্যে অন্যরকমের একটি আনন্দ রয়েছে, যা আমাকে আরো সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।’

তিনি জানান, স্টেট পার্লামেন্টে থাকলেও জাতীয়ভিত্তিক যে কানেকশন রয়েছে ইউএস সিনেট এবং ক্যাপিটল হিলে, তাকে অবশ্যই বাংলাদেশি আমেরিকান ও বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণে কাজে লাগানোর প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

শেখ রহমান নির্বাচনী এলাকার ভোটারের সংখ্যা ১৪ হাজার ৯০৪। এর মধ্যে শতাধিক বাংলাদেশি-আমেরিকান রয়েছেন। অর্থাৎ ভিন্ন ভাষা, বর্ণ আর ধর্মের মানুষের প্রিয় একজনে পরিণত হওয়ায় জনপ্রতিনিধি হিসেবে গৌরবের আসনে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছেন। কমিউনিটির ব্যাপারে শেখ রহমানের পরামর্শ হচ্ছে, বাঙালিত্ব হৃদয়ে ধারণ করে প্রতিবেশী সব ভাষা-বর্ণ-ধর্মের মানুষের সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তাহলেই যে কোনো নির্বাচনে বিজয়ের পথ সুগম হয়।

তার ছোট ভাই শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, ‘বড় ভাইয়ের বিজয়ে পরিবার, আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার সবাই আনন্দিত।’

শেখ রহমান ১৯৫৫ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ মহকুমার বাজিতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম নজিবুর রহমান এবং সৈয়দা হাজেরা খাতুন দম্পতির চতুর্থ সন্তান তিনি। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান শেখ রহমান। ছাত্রজীবনেই তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

৩ নভেম্বরের নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পাঁচজন প্রার্থী বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- টেক্সাসের অস্টিন থেকে ইউএস কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী ডোনা ইমাম, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেটর শেখ রহমান, নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল বি. খান ও পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের অডিটর জেনারেল পদে ড. নীনা আহমেদ। এছাড়া ড. রাব্বি আলম মিশিগান স্টেট থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন ও আবুল বি. খান।