প্রবাস

‘সোনার বাংলা’ বিষয়ে নাইজেরিয়ার নাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে  বছরব্যাপী গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাইজেরিয়ার আবুজায় নাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নাইজেরিয়ার আবুজায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ৯ ডিসেম্বর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং দেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন ও প্রগতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়।  উক্ত অনুষ্ঠানে নাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক উসমান নুরি আরাজ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আদেসিনা উসমান গোনিয়েত এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব ও  ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বিদোষ চন্দ্র বর্মন অংশ নেন। 

অধ্যাপক উসমান নুরি আরাজ তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু এক মহান নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছেন।  তার বীরোচিত আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ গোটা পৃথিবীর মানুষ এখনও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে বলতে গিয়ে, উপাচার্য বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’র ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে বিদোষ চন্দ্র বর্মন বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেননি, যথাশীঘ্র সম্ভব যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনের কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন।

বাংলার সমৃদ্ধির ইতিহাস তুলে ধরে বর্মন বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষক ও শ্রমিককে শোষণ থেকে মুক্তির জন্য একটি সমৃদ্ধ দেশ চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন এমন এক আর্থ-সামজিক ব্যবস্থা যেখানে ধনী-গরীবের বৈষম্য থাকবে না।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে চলেছেন। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম-আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশকে প্রায়ই ‘উন্নয়নের রোল মডেল’ বা ‘উন্নয়ন-বিস্ময়’ বলে অভিহিত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথে অগ্রগতি বেশ লক্ষ্যণীয়।  

অধ্যাপক ড. আদেসিনা উসমান গোনিয়েত তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন মহান নেতা।  তিনি সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা খুবই প্রশংসনীয়।

আলোচনা শেষে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে নাইজেরিয়ার সরকার কর্তৃক অবমুক্ত স্মারক ডাকটিকিট হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।