প্রবাস

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া: ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার বলেছেন, ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের (বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া) ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে।

মালয়েশিয়ার স্থানীয় টেলিভিশন অ্যাস্ত্রো আওয়ানি'তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার (৮ মে) অ্যাস্ত্রো আওয়ানি টেলিভিশনের জনপ্রিয় উপস্থাপক রিজাল জুলকাপলির উপস্থাপনায় ‘আওয়ানি গ্লোবাল’ নামে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে যোগ দেন তিনি।  ২৬ মিনিটের এ অনুষ্ঠানে কথা বলেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যাবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রমবাজারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে।

‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ'কে স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি দেয় মালয়েশিয়া। সেই থেকে দুই দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ়। ২০২২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

এ সময় বাংলাদেশের ধারবাহিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেকটা বেড়েছে। বিদেশি বিনিয়োগে মালয়েশিয়ার অবস্থান নবম উল্লেখ করে আরও বিনিয়োগের জন্য ব্যাবসায়িকদের আহ্বান জানান হাইকমিশনার। 

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এশিয়ায় বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন ২০৪১ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে শামিল হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার। 

শ্রমবাজার ইস্যুতে তিনি বলেন, ব্যাবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে কর্মী, জমি ও মূলধন প্রয়োজন যার মধ্যে কর্মীর জন্য বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশের উপর তারা নির্ভরশীল। এই শ্রমবাজারে সততা, কর্মনিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশি কর্মীরা নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বেশিরভাগ মালিক কর্মী হিসাবে বাংলাদেশিদের চায়।  তবে শ্রমিক আসার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় অনেক সময় বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয় বলে মন্তব্য করেন এ কূটনীতিক। 

এ সময় বাংলাদেশি স্বনামধন্য কোম্পানি আকিজ গ্রুপ সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগ করেছে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর ওপর তাগিদ দেন হাইকমিশনার। 

গোলাম সারওয়ার বলেন, বর্তমানে ২৮ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে মালয়েশিয়ায়। তাদের মাধ্যমে দুই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধন বিস্তৃত হচ্ছে।  এছাড়া উপযোগী ও প্রতিকূল পরিবেশ থাকায় প্রতি বছর দেড় লাখেরও বেশি বাংলাদেশি মালয়েশিয়া ভ্রমণে আসে বলে জানান হাইকমিশনার।  

এ সময় বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা চলমান কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মালয়েশিয়া সরকারের প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, ‘বর্তমানে এটি মোকাবেলা করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ’।