প্রবাস

জাপানে শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিন উদযাপিত  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী আজ (৫ আগস্ট)। গভীর শ্রদ্ধা আর  ভালোবাসার সাথে দিবসটি উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।  

দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 

জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শেখ কামালের কর্মময় জীবন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। 

তিনি বলেন, চিরতারুণ্যের প্রতীক অনন্য শেখ কামাল ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তি বাহিনীর গেরিলা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।  মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নিয়েও শেখ কামাল খুবই সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন একাধারে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠক।  তিনি যেমন ছায়ানটে সেঁতার বাজিয়েছেন, তেমনি আবাহনী ক্রীড়া চক্র নামে ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক।  

শেখ কামাল যার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বহমান ছিলো, তিনি ছিলেন অনেক গুণের অধিকারী অর্থাৎ আদর্শ বাবার আদর্শ সন্তান। তিনি ছিলেন বিনয়ী ও মার্জিত। দাম্ভিকতা ছিল তার স্বভাব বিরুদ্ধ। তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামাল বেঁচে থাকলে হয়তো বর্তমান বাংলাদেশ যুব, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরোও আধুনিক ও প্রগতিশীল অবস্থানে আসীন থাকতো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারের সাথে শেখ কামালকেও আমরা হারিয়েছি। 

শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে  আলোচনা অনুষ্ঠানে তার ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদান নিয়ে আলোকপাত করেন দূতাবাসের উপ-প্রধান শাহ আসিফ রহমান।  এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শেখ কামালের কর্মজীবন, প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টির উপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।