প্রবাস

‘বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে’

কানাডায় সফররত তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে।  মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।

আওয়ামী লীগ, কানাডা, ক্যুইবেক শাখা আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রতিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ‌্য জানানো হয়।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র পৃথিবী নিয়ে ভাবতেন। তাই, তার রাজনৈতিক দর্শনও সারা পৃথিবীতে স্বীকৃত।  তরুণ প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে জানাতে উদ্যোগ নিতে হবে আপনাকে আমাকে সবাইকেই।

তিনি বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের রূপ। আওয়ামী লীগ সরকারের কল্যাণে দেশে সংঘটিত হয়েছে আমূল পরিবর্তন।  জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন থেকে শুরু করে ডিজিটালাইজেশন, সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। বিগত বার বছরে দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।  যার ফলাফল, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।  বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যা ব্যতীত বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের কোনো ইতিহাস নেই।

যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার শব্দ উচ্চারণ করলেন তখন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী তারা কেউই এগিয়ে আসেনি বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

ডা. মুরাদ বলেন বলেন, মানুষকে হত্যা করা যায়। কিন্তু তার দর্শন, নীতি ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না।  ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট  ঘাতকরা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। কিন্তু তারা হত্যা করতে পারেনি তার দর্শন, নীতি ও আদর্শকে। তার আদর্শই আজ আমাদের পথ চলার পাথেয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।  জাতির পিতার সমগ্র জীবনের লড়াই, সংগ্রাম,ত্যাগ- তিতিক্ষার ইতিহাস আমাদের সবার জানতে হবে। আসলে বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন, নীতি, আদর্শ, কর্ম ও নেতৃত্বের বহুমাত্রিক গুণাবলির মধ্যে নিহিত রয়েছে আদর্শ মানুষ ও সুনাগরিক হওয়ার সব উপাদান।  জাতির পিতার ইতিহাস জানতে অসমাপ্ত আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়াচীন, কারাগারের রোজনামচা এই তিনটি বই পড়তে হবে।

‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে দিন দিন দূরে ঠেলে দিয়েছে। দেশের উন্নয়নে তারা কোনো কাজ করেনি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা বঙ্গবন্ধুকে কীভাবে খাটো করা যায়, তার পরিবারের সদস‌্যদের ওপর কালিমা লেপন করা যায়, সে চেষ্টা করেছে।  কিন্তু তারা সেটি পারেনি।  এদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সুদূরপ্রসারী।  তিনি সোনার বাংলা সাজানোর কর্মসূচি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। 

আওয়ামী লীগ, কানাডা, ক্যুইবেক শাখার সভাপতি মুন্সি বশীরের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাঙালিদের মাঝে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ‘অসমাপ্ত আত্নজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ এই তিনটি বই বিতরণ করেন।