প্রবাস

বিভিন্ন দেশে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

ভালোবাসা ও মমতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন, কনস্যুলেট এবং মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন হয়েছে। কিছু স্থানে সশরীরে এবং করোনা নিষেধাজ্ঞার কারণে কয়েকটি দেশে ভার্চুয়ালি দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সোমবার বাংলাদেশ দূতাবাস, রোমে জুম প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ, পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, শেখ রাসেলের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন, বাণী পাঠ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা অনুষ্ঠান, শেখ রাসেলসহ তার পরিবারের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।

ইতালি, মন্টেনিগ্রো ও সার্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ শেখ রাসেল এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ রাতে নিহত সব শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  দূতাবাসের কাউন্সেলর এ এস এম সায়েম অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বিপুলসংখ্যক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ডিজিটাল মাধ্যমে অংশ নেন। কমিউনিটির বক্তারা শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতি রোমন্থন করে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

বেলজিয়ামে বসবাসরত শিশু-কিশোর এবং বাংলাদেশ কমিনিউটির সদস্যদের অংশগ্রহণে ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উদযাপন করেছে।

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে শিশুদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ছিল অনুষ্ঠানের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।  এছাড়াও, দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ্ তার বক্তব্যে বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল ছিলেন ‘বঙ্গবন্ধুর ক্ষুদ্র সংস্করণ’।

কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, অটোয়া হাইকমিশন প্রাঙ্গণে দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিবসটি উপলক্ষে পরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং কূটনীতিকরা অংশ নেনে।

ওয়াশিংটন ডিসিতেও বাংলাদেশ দূতাবাস শেখ রাসেলের ৫৮ তম জন্মবার্ষিকী ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে শেখ রাসেলকে স্মরণ করে ১৮ অক্টোবর দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান এবং মিনিস্টার কন্সুলার হাবিবুর রাহমান।

রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি শহীদ শেখ রাসেলসহ ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি অনন্য দৃষ্টান্ত যা কিছু কুচক্রি মহল বিনষ্ট করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি এরকম ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতিতে অবলম্বনে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।  অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শেখ রাসেল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হামলায় শহীদ হওয়া সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একটি বিশেষ প্রার্থনা পরিচালিত হয়।