ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২১’ পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। প্রথমেই দিবসটি উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
আলোচনাপর্বে বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আলোচকরা বলেন, ‘শেখ রাসেল ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকদের হাতে নির্মম হত্যার শিকার না হলে আজ বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মতো আরও একজন দূরদর্শী, মানবিক ও আদর্শ নেতা পেতো।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘শিশু বয়সেই শহীদ শেখ রাসেলের অসাধারণ মানবিক ও নেতৃত্বের গুণাবলী ফুটে উঠেছিল। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আজকে আমরা বঙ্গবন্ধুর আরও একজন যোগ্য উত্তরসূরী পেতাম।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ঘাতকরা শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। শেখ রাসেল মানবিক ও আদর্শিক সত্ত্বা হিসেবে বেঁচে আছেন সবার মাঝে।’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং উৎফুল্ল শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কেটে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন করেন।