প্রবাস

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস। সোমবার (৮ আগস্ট) দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

এ সময় মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সরোয়ারসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. জহিরুল ইসলাম এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিন। 

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সারাজীবন বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসেবে থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করেছেন।

দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহেনা পারভীনের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে বঙ্গমাতার কর্মময় জীবন সম্পর্কে হাইকমিশনার বলেন, সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু বহুবার কারাবরণ করেছেন। আর তখন সাহসী বঙ্গমাতা পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। তাই কোনো রাজনৈতিক পদধারী না হয়েও তিনি বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক।

এ সময় বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান হাইকমিশনার। তিনি বলেন, বঙ্গমাতার জীবনকর্ম থেকে আজকের প্রজন্ম ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) নাজমুস সাদাত সেলিম, কাউন্সিলর কনস্যুলার জি এম রাসেল রানা, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মোস্তাক আহমেদ (জি), এনপিপি, পিএসসি, কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) মো. রাজিবুল আহসান এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) এ এস এম জাহিদুর রহমান, দ্বিতীয় সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাসসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়াও দূতাবাসের ফেসবুক পেজে লাইভ প্রচার করে প্রবাসীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।