প্রবাস

আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন

‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’- এই উপপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, জনতা ব্যাংক ও বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তারা। আলাদা আলদাভাবে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত এবং বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।   

পরবর্তীতে, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কর্মময় জীবনের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গমাতার ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশীগণ বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে তাঁর অবদানের বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন। তারা বলেন, জাতির পিতার লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদায়ী এবং জাতির পিতার সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তাঁর প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রেরণার উৎস হয়েছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ বছর বঙ্গমাতার জন্মদিবসের প্রতিপাদ্য- ‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’; স্বাধীন বাংলা সৃষ্টিতে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসামান্য অবদান বর্ণনায় যথার্থ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন দেশের স্বাধীনতাসহ বঙ্গবন্ধুর সব আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণা এবং সহযোদ্ধা ছিলেন ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যিনি দুইজন রাষ্ট্রনায়ককে গড়েছেন। তিনি ছিলেন উজ্জ্বল নক্ষত্র যার মধ্যে অন্তর্নিহিতভাবে লালিত হয়েছে রাজনৈতিক চেতনা, বিশেষ করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বঙ্গমাতার দৃঢ় অবস্থান এবং ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রণয়নে বঙ্গমাতার পরামর্শ বাংলার স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছিল, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাষ্ট্রদূত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এঁর ন্যায় আদর্শে অবিচল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।

সবশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বঙ্গমাতা এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এর সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।