প্রবাস

‘আতঙ্ক নয়, বিমানবন্দর হোক স্বস্তির জায়গা’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ‘প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট জটিলতা, সার্বিক নিরাপত্তা, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও সহজ বিনিয়োগ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা হয়েছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএই ও খুলনা প্রেস ক্লাব আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রবাসী বাংলাদেশি, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তবারা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। মালামাল চুরি, লাগেজ কাটা ও ট্রলি সংকটের মুখোমুখি হন প্রবাসীরা। অনেকের কাছে তাই বিমানবন্দর মানেই আতঙ্কের নাম। অথচ, বিমানবন্দর হওয়ার কথা ছিল নিরাপদ ও স্বস্তির জায়গা। রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে সরকারকে সবার আগে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিরাপত্তা ও তাদের হয়রানি বন্ধের উদ্যোগ নিতে হবে।’

বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএই’র সভাপতি শিবলী আল সাদিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনির সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, খুলনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. আশরাফুল হক, দৈনিক পূর্বাঞ্চল সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সনি, এখন টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান মো. তরিকুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ, আমিরাত প্রবাসী ব্যবসায়ী ও সংগঠক শেখ ফরিদ আহমেদ সিআইপি, বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম ইউএই’র সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব আলম মানিক সিআইপি, নেপ্লেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান একে আজাদ, রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন মামুন, সিন্দুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর নবী, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মোদাচ্ছের শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল শাহীন, অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ ইছমাইল, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আসিফ প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি তুলে ধরে বলেন, ‘অভিবাসী দিবসকে সমানে রেখে সরকারের উচিত প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধাগুলো আরও গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করা। বিশেষ করে, এই দিবস উপলক্ষে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় অন্তত ১০০টি এজেন্ডা নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’

এছাড়াও বক্তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রবাসীর সন্তানদের জন্য বিশেষ কোটা প্রথা চালু, দেশের বাইরে সাধারণ শ্রমিকদের শিক্ষার আলোয় বিকশিত করতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু, সরকারি দপ্তরে প্রবাসী প্রতিনিধি রাখা, প্রবাসে থাকা অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা, ই-পাসপোর্টের জটিলতা নিরসন ও বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মাহমুদ সোহেল, বিমল সাহা, হুমায়ুন কবীর, আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সংগঠক প্রকৌশলী মইনুল ইসলাম, ইফতেখার পাবেল, জুলফিকার হায়দার, সাজন আহমেদ সাজু, শামসুল হক প্রমুখ।