দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে যেসব কোম্পানিতে ৩০ জনের বেশি শ্রমিক ছিল, সেসব কোম্পানিগুলোতে সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ ৫২ কর্মঘণ্টার অনুমতি ছিল। অর্থাৎ ৪০ ঘণ্টা বেসিক কাজ ও ১২ ঘণ্টা অতিরিক্ত বা ওভারটাইম। যেসব কোম্পানিতে ৩০ জনের নিচে শ্রমিক ছিল, সেসব কোম্পানিতে মালিক ও শ্রমিকের সম্মতিতে ৪০ ঘণ্টা বেসিক ও ২০ ঘণ্টা অতিরিক্ত বা ওভারটাইম করার অনুমতি দিয়েছিল।
তবে ৩০ জনের নিচের কোম্পানিগুলোতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সপ্তাহে বাধ্যতামূলক ৫২ ঘণ্টা চালু করার কথা থাকলেও করোনা পরবর্তী শ্রমিক সংকটের আশঙ্কা থাকাই সেটা আর চালু হয়নি। বর্তমান নিয়মানুযায়ী মালিক চাইলে শ্রমিকের সম্মতিতে ৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করাতে পারবে। আগামীতে নতুন কর্মঘণ্টার প্রস্তাবনা মুনজেইন সরকারের সময় পাশকৃত ৫২ ঘণ্টার আইনকে মালিকপক্ষকে সুবিধা দেওয়ার জন্য উঠিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বর্তমান সরকার।
বর্তমান সরকার কর্মঘণ্টাকে দুটি ভাগে বিভক্ত করার প্রস্তাবনা রেখেছে-
প্রথম ভাগে রেখেছে সপ্তাহে বেসিক কাজ ৪০ ঘণ্টার সাথে ওভারটাইম হিসেবে সর্বোচ্চ ২৯ ঘণ্টা করানো যাবে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৬৯ ঘণ্টা।
দ্বিতীয় ভাগে রেখেছে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা বেসিক কাজের সাথে ওভারটাইম সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৬৪ ঘণ্টা।
প্রস্তাবিত আইনে আরও উল্লেখ রয়েছে, একজন কর্মীকে সপ্তাহে ৬৯ ঘণ্টা কাজ করালে দিনে ১১ ঘণ্টার বেশি বিশ্রামের সময় দিতে হবে। কিন্তু মালিকপক্ষ যদি বিশ্রাম সময় না মানে, তাহলে শ্রমিক চাইলে ওপরের দুইটা অপশনের মধ্যে একটি বাছাই করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ মালিক বাধ্যতামূলক করাতে পারবে না, অবশ্যই শ্রমিকের সম্মতি থাকতে হবে।
তবে নতুন আইনের প্রস্তাবনা আসার সাথে সাথে শ্রমিক সংগঠনগুলো কর্মঘণ্টা নিয়ে সরকারের সমালোচনা ও বিরোধিতা করছে। তবে যখন সাপ্তাহিক ৫২ ঘণ্টা আইন যখন পাশ হয়েছিল, তখন এটিকে শ্রমিক সংগঠনগুলো বাহবা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিল।