কৃষি

মন কেড়েছে তুলাতলী পর্যটন স্পট

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা শহরসংলগ্ন তুলাতলী বাঁধ এলাকা এখন প্রতিদিনই  ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে বিকেলে এখানে অনেকেই দল বেঁধে, পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসছেন। নববর্ষ উপলক্ষে এলাকাটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। ফলে শুধু জেলা শহর থেকেই নয়, আশপাশের জেলাগুলো থেকেও অনেকে বেড়াতে আসছেন। তুলাতলীর নতুন সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরসহ সব বয়সের মানুষ। অনেকে সকালে সপরিবারে বেড়াতে এসে সারাদিন থেকে সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরছেন। সঙ্গে নিয়ে ফিরছেন আনন্দময় স্মৃতি।  তুলাতলী বাঁধ এলাকায় বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোলায় উল্লেখযোগ্য কোনো বিনোদন কেন্দ্র  নেই। ফলে শহর  থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে  মেঘনা নদীর কুলঘেঁষা প্রাকৃতিক  সৌন্দর্যমণ্ডিত বাঁধ এলাকা ধীরে ধীরে সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।তুলাতলীতে নদীর উত্তাল  ঢেউ, নির্মল বাতাস আর বাহারি নৈসর্গিক প্রকৃতি আগতদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়। দর্শনার্থীরা এখানে এসে নদীর  পাড়ে ঘুরে বেড়ানো, নদীতে নৌকাভ্রমণ, বাঁধের ওপর সিসি ব্লকের ওপরে দাঁড়িয়ে নদীর বুকে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ পান। স্থানীয়দের উদ্যোগে  এখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থাও রয়েছে। তুলাতলী বেড়াতে এসেছেন লাভলী আক্তার। তিনি বলেন, ‘ছুটি পেলেই এখানে বেড়াতে আসি। বেশ ভালো লাগে। তবে এখানে দর্শনার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বসার স্থান  নেই। কর্তৃপক্ষের এ দিকগুলোতে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।’দর্শনার্থী  মৌরি বলেন, ‘তুলাতলীর কথা অনেক শুনেছি। এবার বেড়াতে এলাম। এসে দেখলাম, সত্যি খুব সুন্দর মনোরম প্রকৃতি রয়েছে এখানে।  যে  কেউ এলে তার ভালো লাগবে।’তুলাতলী পর্যটন স্পট হিসেবে গুরুত্বের দাবিদার। ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় কয়েক যুবক স্পটটি গড়ে  তোলার উদ্যোগ  নেন। তারা এটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। উদ্যোক্তাদের অন্যতম  মো. বাবুল  বলেন, ‘আমরা কয়েকজন মিলে তুলাতলীকে নতুন করে সাজিয়েছি। এর  সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে স্পটটিকে আরো আকর্ষণীয় করে  তোলা হবে। তখন বিনোদনের টানেই প্রতিদিন মানুষ এখানে আসবেন।’রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ এপ্রিল ২০১৫/নয়ন/তাপস রায়