নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলের নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যায় বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জেলার প্রায় সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার সকালে যমুনা নদীর পানি বিপসসীমার ৬৮ সেমি., ধলেশ্বরী নদীর পানি ৮৯ সেমি. এবং ঝিনাই নদীর পানি ৪৫ সেমি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এই পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার পাঁচ উপজেলায় নদী তীরবর্তী প্রায় ১০৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার বেশিরভাগ মানুষ। পানিবন্দির আশঙ্কায় রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৮০০ পরিবার। এসব গ্রামের রাস্তা এবং ফসলী জমি তলিয়ে যাওয়ায় আর পানি প্রবেশ করায় বন্ধ রয়েছে ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। আর এতে গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, সদর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের প্রায় ১০৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে জেলায় বোনা আমন ১১৭৫ হেক্টর জমি, রোপা আমন (বীজতলা) ৩৩ হেক্টর, আউশ ৬০৮ হেক্টর এবং বিভিন্ন ধরনের সবজি ৯৬ হেক্টরসহ মোট ১৯১২ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলে আরো ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় এবং সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় নয়টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং প্রায় ৫৮টি প্রাইমারি বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে জানান জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম। রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/১৭ জুলাই ২০১৯/শাহরিয়ার সিফাত/বকুল