ফসলের উৎপাদন ব্যয় কমাতে ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম প্রতি কেজিতে নয় টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য জানিয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকদের ফসল উৎপাদন খরচ কমাতে ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের মূল্য প্রতি কেজি নয় টাকা করে কমানো হচ্ছে। এতে কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৫ টাকা থেকে কমে হবে ১৬ টাকা। ডিলার পর্যায়ে ২৩ টাকা থেকে কমে হবে ১৪ টাকা। শিগগিরই এটি কার্যকর হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এতে অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। তবে এ জন্য সরকারের কাছ থেকে নতুন করে টাকা নিতে হবে না। প্রতি বছর সরকার কৃষি কাজে ভর্তুকির জন্য নয় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় । কিন্তু খরচ হয় ৭ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ হাজার কোটি টাকা থেকেই এটা মেটানো সম্ভব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কৃষকদের উৎপাদন খরচ লাঘবের উদ্দেশে একটি প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। তখন তিনি এ মূল্য হ্রাসের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় কৃষকদের উৎপাদন খরচ হ্রাস, সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ, কৃষিক্ষেত্রে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
মন্ত্রী জানান, উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য ধানকাটা যন্ত্রসহ অন্যান্য যন্ত্র কম দামে সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষিকে একটি লাভজনক খাত হিসেবে গড়ে তুলবে কাজ করছে সরকার।’ ঢাকা/আসাদ/ইভা