কৃষি

দিনাজপুরে কলার চাষ বাড়ছে

দিনাজপুরের বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় কলা চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। লাভজনক হওয়ায় সেখানে কলার চাষ বাড়ছে।

দুটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এক বিঘায় উৎপাদিত কলা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়।

১ বিঘায় ৩৭৫টি কলার চারা লাগানো যায়। গাছ লাগানোর ৭ মাসের মধ্যে কলার মোচা আসে। ১০ থেকে ১২ মাসে কলা বাজারজাত করা যায়। যে গাছে কলা হয়, সেটি কেটে ফেলে চাষিরা। গাছ কাটার পর নিচ থেকে জেগে ওঠা কলার চারাগুলো আবার বাড়তে থাকে। এভাবে একটি কলাবাগান থেকে চাষিরা কয়েক বছর কলা উৎপাদন করতে পারে।

বিরামপুরের শারামপুর গ্রামের কলাচাষি দবির হোসেন রাইজিংবিডিকে জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে মালভোগ জাতের কলার গাছ লাগিয়েছেন। এখন প্রতিটি গাছে মোছা আসছে। তিনি আশা করছেন, কলার ফলন ভালো হবে এবং ভালো দাম পাবেন।

নবাবগঞ্জের দাউদপুর গ্রামের কলাচাষি ফুতু মিয়া বলেন, সোয়া এক বিঘা জমিতে কলার বাগান করেন তিনি। এর মধ্যে ৪০০ গাছে কলা ধরে। তিনি আগাম দামে সেই কলা বিক্রি করে দেন। ভালোই দাম পেয়েছেন। ব্যবসায়ীরা কলা কেটে নিলে ওই গাছ থেকে যে চারা বের হবে, তা আবার পরিচর্যা করবেন।

বিরামপুরের কলা ব্যবসায়ী হানিফ শাহা জানান, ২৮ বছর ধরে তিনি কলার ব্যবসা করে আসছেন। এবার শীতের মৌসুমে তিনটি কলার বাগান ক্রয় করেন। এর মধ্যে ৩০০ কাদি কলা বিক্রি করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়। 

তিনি আশা করেন, পুরো কলা বিক্রি করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাবেন।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, চলতি মৌসুমে বিরামপুর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে। গত বছর কলা চাষ করা হয় নয় হেক্টর জমিতে।

তিনি জানান, তারা কলাচাষিদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আশা করছেন, এ বছর ভালো ফলন পাবেন চাষিরা।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, চলতি বছরে নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে। গত বছর ১৪ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়।

আগামীতে কলার চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন তিনি।

 

মোসলেম উদ্দিন/বকুল