কৃষি

আপেলকুল চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন ছবির শিকদারের

কুল পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল। এটি রক্ত শোধন, রক্ত পরিষ্কার এবং হজমিকারক হিসেবে কাজ করে। পেটে বায়ু, অরুচি ও প্রদহ রোগের ওষুধ এটির ফুল থেকে তৈরি করা হয়।

যে কোনো ধরনের মাটিতে কুলের চাষ করা যায়। তবে বিশেষ করে দো-আঁশ মাটিতে ভালো হয়। কুলগাছ লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা উভয়ই সহ্য করতে পারে। মিষ্টি ও সুস্বাদু এ জাতের আপেল কুলের বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই কুলের চাষাবাদ। এই কুল চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন নরসিংদীর ছবির শিকদার।

পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চর আলীনগর গ্রামে ছবির শিকদার নিজের পতিত জমিতে উন্নত জাতের আপেল কুল চাষ করেছেন।

ছবির শিকদার জানান, পাঁচ বছর আগে পাশের গ্রামের কুল বাগান দেখে তার আগ্রহ জাগে। এরপর নিজের ২০ শতাংশ জমিতে আপেল কুলের চাষ শুরু করেন। চারা রোপণের পর নিয়মিত পরিচর্যার কারণে মাত্র এক বছরে প্রতিটি গাছে ফলন আসে। এখন তার বাগানের ২৫টি গাছ থেকে তিনি প্রতি বছর ২-৩ লাখ টাকার কুল বিক্রি করছেন।

তিনি জানান, আপেল কুলের বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। পাইকাররা বাগান থেকে কুল কিনে নিয়ে হাটবাজারে বিক্রি করছেন। আগামীতে আরও বড় আকারে বাগান করবেন বলে জানান তিনি।

কুল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। নিয়মিত বাগান পরিচর্যার পাশাপাশি কৃষকদের দিচ্ছেন বিভিন্ন দিকনির্দেশনা।

চরসিন্দুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ ভূইয়া বলেন, ঠিকমতো সার, কীটনাশক ও বাগান পরিচর্যা করতে পারলে কুল চাষে লাভবান হওয়া যায়।

পলাশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, এ বছর পলাশ উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে কুল চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে চরসিন্দুর ও গজারিয়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়। 

কুল চাষাবাদ করে অনেকে লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের মধ্যে কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

 

হানিফ/বকুল