কৃষি

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে:  কৃষিমন্ত্রী

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ দেশের সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও চেতনায় অনুপ্রাণিত করবে।

রোববার (১৪ মার্চ) বগুড়ার শেরপুরে বালেন্দা গ্রামে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  উল্লেখ্য, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ১০০ বিঘা আয়তনের ধানখেতে ফুটিয়ে তোলা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ এখন গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রে  হিসাবে স্বীকৃতির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্মেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীন দেশটি পেয়েছি। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন মূল সংগঠক ও অবিসংবাদিত নেতা।  একই সাথে, বঙ্গবন্ধু ছিলেন কৃষি ও কৃষকের অকৃত্রিম বন্ধু। বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের পুনর্গঠনে প্রথমেই গুরুত্ব দেন কৃষি উন্নয়নের কাজে। ডাক দেন সবুজ বিপ্লবের। ফলে, বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে যেমন আছেন তেমনি বাংলার আকাশে বাতাসে আছেন। এ দেশের সবুজ শ্যামল ভূমির প্রতিটা কণা, শস্যখেতসহ সব ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি প্রতিকৃতি আমরা দেখতে পাই। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধুকে ফসলের খেতে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্রে তুলে ধরেছি। এটা একটা অসাধারণ শিল্পকর্ম। এর মাধ্যমে দেশের সব মানুষ সশরীরে বা মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে শস্যখেতে দেখতে পারবেন।   

শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, পুলিশ সুপার মো. আলী আশরাফ ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।