লজ্জাবতী
সাজ্জাদ কবীর
বাগানটা বাড়ির একেবারে সামনে। পিছনেও অনেকটা জুড়ে বাগান আর চাষের জমি। পিছনের বাগান আর সামনের বাগানের মধ্যে পার্থক্য আছে।
পিছনে আছে আম কাঁঠাল, পেয়ার, আমলকি- নানা ধরনের ফলের গাছ। নারকেল আর সুপারি গাছও আছে। আর আছে মেহগনি সেগুনগাছ। পাশে অনেকটা জমি আছে। সেখানে ধান চাষ হয়, মসুরি চাষ হয়। আরও কত কী! কিন্তু সামনের বাগানটা কেবলই ফুলের। কত জাতের ফুল আছে এখনও গুনে শেষ করতে পারেনি মৌসুমী। গোলাপ গাঁদার মতো পরিচিত ফুল ছাড়াও আরও কত যে নাম না জানা ফুলের গাছ আছে কে বলবে! প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও নতুন ফুল চোখে পড়ে মৌসুমীর। এগুলো নাকি সব বুনোফুল। মৌসুমীর বড় ভাই বলেছে তাকে। হলই বা বুনোফুল, কত সুন্দর তাদের রঙ! দেখলে কত ভালো লাগে। পিছনের বড় বাগান আর চাষের জমি যারা দেখাশোনা করে তাদেরই একজন ফুলের বাগানে কাজ করে। এরা ঠিক মালি না, চাষী। অফিস থেকে এসব দেখাশোনা করার জন্য রাখা হয়েছে। মৌসুমী পিছনের বাগানে যায় না। ভয় লাগে, বাবা কী বড় আর ঘন বাগান! একেবারে জঙ্গলের মতো। তাছাড়া মা বলে দিয়েছে বাবা বা মা ছাড়া অন্য কারও সাথে যেন পিছনের বাগানে না যায়। বাবা একদিন অবশ্য নিয়ে গেছে তাকে। সেই ফলের বাগানটাও খুব সুন্দর। কত গাছ আর সেই সব গাছে কত পাখি। অনবরত ডাকছে তারা। বড় গাছগুলো কেমন যেন গম্ভীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চুপ করে। বাতাস এলে গাছগুলো একসাথে কেমন দুলে ওঠে। একসাথে শোঁ শোঁ আওয়াজ ওঠে ডাল আর পাতা থেকে।মৌসুমীর সবচেয়ে ভালো লাগে সামনের এই ফুলের বাগানটা। এক ধরনের শক্ত ডালওয়ালা গাছ দিয়ে ফুলের বাগানটা বেড়া দেওয়া। এখানকার লোকরা বলে আটছড়ি গাছ। তাতে হঠাৎ করে ছাগল-টাগল ঢুকে পড়তে পারে না। মৌসুমী একা একা তার মধ্যে ফুলের সাথে খেলা করে যায়।কিছুদিন হল বাবা বদলি হয়ে এই সুগার মিলে এসেছে। তাদেরও আসতে হয়েছে সেই সাথে। দাদা এবারে এসএসসি পাশ করেছে। আর সে কেবলই ক্লাস ফোরে পড়ে। এখানে আসতে হবে শুনে প্রথমে তার মনটা খুব খারাপ ছিল। আসার পর একেবারে বদলে গেছে মৌসুমী। এমনকি দাদা রাগ পর্যন্ত করেছিল মায়ের সাথে। সেই দাদাও জায়গা দেখে মুগ্ধ। দাদা তাকে বলেছে, ‘জানিস, এখানে আসার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি বোটানিস্ট হব।’ তবে মুখে সে কথা বললেও আপাতত সে ব্যস্ত ক্রিকেট খেলা নিয়ে। অন্য কোয়াটারের ছেলেদের সাথে দিব্যি ভাব জমিয়ে ফেলেছে এই দুই মাসে। তবে বোটানিস্ট হবে সে কথাটাও একেবারে ভুলে যায়নি। ইন্টারনেট ঘেঁটে নানা ধরনের গাছপালার বিষয় বের করছে। তার অর্ধেকই অবশ্য মৌসুমীর আব্দারে। মৌসুমী একটা গাছের নাম শোনে আর নানা প্রশ্ন শুরু করে। বোনের মন রাখতে বাধ্য হয়ে আনন্দকে কম্পিউটার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়। অবশ্য তাতে তারও লাভ হচ্ছে। অনেক সময় নিজে থেকেই বলে, ‘মৌসুমী, বল তো আমাদের জাতীয় ফুল কোনটা?’মৌসুমী বেশ প্রত্যয় নিয়ে বলে, ‘জানি জানি, শাপলা।’মুখে একটু হাসি মাখিয়ে আনন্দ বলে, ‘এখন বল তো, শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম কী?’‘বৈজ্ঞানিক নাম আবার কী জিনিস?’ অবাক হয়ে তাকায় দাদার দিকে।‘আরে, আমাদের চারদিকে এত যে গাছপালা ফুলফল এর সব কিছু নিয়েই গবেষণা হয়। তখন বৈজ্ঞানিকরা নিজেদের কাজের জন্য এদের একটা করে নাম দেয়। সেটাই হল বৈজ্ঞানিক নাম।’ আনন্দ সদ্য জানা বিষয়গুলো থেকে জ্ঞান বিতরণ করতে থাকে।‘তার মানে যে বৈজ্ঞানিকের যেমন খুশি একটা নাম দিয়ে দেয়, তাই না! তাহলে তুই যখন বৈজ্ঞানিক হবি তখন একটা ফুলের নাম আমার নামে দিয়ে দিস।’‘ধ্যাত! ওভাবে নাম দেওয়া যায় না। সব কিছুই প্রজাতি, গণ এই সব নানা ভাগে ভাগ করা হয়। আর নাম দেওয়ার সময় সেই সব কিছু মাথায় রেখে নাম দিতে হয়। যেমন শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম ঘুসঢ়যধবধপবধবমৌসুমী এবারে ধৈর্য হারিয়ে বলে, ‘আমি যাই আর কোনও নতুন ফুল পাই কিনা দেখি।’মাঝে মাঝে আনন্দও বিরক্ত হয়। বিশেষ করে গল্পের বই পড়ার সময় যখন মৌসুমী একটা গাছের পাতা এনে বলে, ‘দাদা, দেখ এটা আগে কখনও দেখিনি।’মৌসুমীরও সারাদিন কোনও কাজ নেই, গাছ নিয়ে আছে। আসলে মৌসুমী একটু লাজুক। আশপাশে তার বয়েসের দুই-একজন মেয়ে আছে। কিন্তু সে নিজে নিজে গিয়ে এখনও বন্ধুত্ব করতে পারেনি। সারা বিকেল অথবা স্কুল না থাকলে সকালে বাগানে ফুল খুঁজে বেড়ায়, পাতা নিয়ে ভাবনায় পড়ে এই গাছটা আগে দেখেছে কিনা! আর তেমন মনে হলে সোজা দাদার কাছে পাতা নিয়ে হাজির। কিন্তু পাতা তো আনলেই হল না এটার নাম জানতে হয়। বাবা না পারলে তখন সেটা এখানকার অন্য কাউকে দেখাতে হয়। তারপর অভিধান দেখে সেটার ইংরেজি নাম বের করে, তবেই না ইন্টারনেটে খোঁজা যাবে।সেদিন সকালে হঠাৎ দৌড়ে এলো মৌসুমী। চোখ বড় বড় করে বলে, ‘দাদা, কী সুন্দর একটা গাছ পেয়েছি দেখ।’আনন্দ বই পড়ছিল। চোখ তুলে বলে, ‘কোথায় দেখা।’‘না না, সেটার পাতা ছেঁড়া যাবে না। গিয়ে দেখতে হবে।’‘তাহলে পরে দেখব। এখন যা, আমি বই পড়ছি।’‘না এখনি যেতে হবে।’ নাছোড়বান্দা মৌসুমী। আসলে আজ সকালে যখন সে বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। বেড়ার কাছে হঠাৎ একটা গাছ দেখতে পায়। পাঁচ ফুটের মত লম্বা গাছটা। তবে একটু লতানো। ছোট্ট ছোট্ট পাতা। ডালের দুই পাশে দুটো পাতা। এমন করে জোড়ায় জোড়ায় পুরো ডাল ভরা। কোনও ডালের মাথায় এক গোছা করে ফুল। ফুলগুলোও সুন্দর, হালকা বেগুনি রঙের। কিন্তু প্রথমে সে ঘাবড়ে গিয়েছিল। ফুলটা একটু ছুঁয়ে দেখতে গিয়েই বিপত্তি। যেই না ও ছুঁয়েছে তখনই সেই ডালের পাতাগুলো দুমড়ে ঢলে পড়ল। ঠিক যেভাবে শুকিয়ে গাছ মরে যায় সেরকম। চট করে হাতটা টেনে নিয়ে অবাক হয়ে সেদিকে তাকিয়ে ছিল মৌসুমী। কেন এমন হল বুঝতেই পারছে না। খুব খারাপ লাগছে, এত সুন্দর একটা গাছ এমন করে মরে গেল নাকি! পাশ দিয়ে সে সময় যাচ্ছিল হামিদ চাচা, তাদের বাগান যে দেখাশোনা করে। মৌসুমীর ফ্যাকাসে চেহারা দেখে জিজ্ঞেস করে, ‘কী হল গো মামণি?’কাঁদো কাঁদো গলায় সে বলে, ‘এই দেখো না, গাছটা কেমন হয়ে গেল।’কাছে এসে দেখে হামিদ চাচা বলে, ‘তুমি কি হাত দিয়েছিলে?’‘হ্যাঁ।’ ভয়ে ভয়ে ছোট্ট উত্তর দেয় মৌসুমী।‘সেই জন্যি তো ওরকম হয়েছে?’‘এখন কী হবে! গাছটা কি মরে যাবে?’ ‘না না। একটু পরেই আবার ঠিক হয়ে যাবে। ওর নাম হলে লজ্জাবতী বুঝিছো। ঠিক তুমার মতো।’‘ধ্যাত! কি বলে।’এরপর মৌসুমী অন্যদিকে চলে যায়। তবে যতক্ষণ গাছটা ঠিক না হয় মৌসুমী ঘুরে ঘুরে এসে দেখে গেছে। তারপর যখন পাতাগুলো আবার আগের মতো হয়ে যায় তখন দৌড়ে চলে যায় দাদার কাছে এই আশ্চর্য সংবাদ জানাতে। ছোট বোনের আব্দার রাখতে বাধ্য হয়ে আনন্দকে উঠতে হয়। বইয়ের ফাঁকে একটা কাগজ দিয়ে টেবিলে রেখে বলে, ‘চল দেখি তোর সুন্দর গাছ।’বাগানে গাছটার পাশে গিয়েই একটা পাতার ডাল ছুঁয়ে দেয় মৌসুমী। সাথে সাথে পাতাগুলো নুয়ে পড়ে।আনন্দ বলে, ‘ও হ্যাঁ, এটা লজ্জাবতী গাছ। শুনেছি কিন্তু কোনওদিন দেখিনি।’ সে নিজেও একটা ডাল ছুঁয়ে দেয়। আর সাথে সাথে সেটার পাতাও মুড়ে যায়। মৌসুমী আরেকটা ডাল ছুঁতে গিয়ে ‘উফ্’ বলে হাতটা সরিয়ে নেয়। আনন্দ তাড়াতাড়ি ওর হাতটা ধরে বলে, ‘কী হল রে!’‘কাঁটা।’তখন দুজনই দেখে ডালের গায়ে ছোট ছোট কাঁটা আছে। আনন্দ ঠাট্টা করে বলে, ‘গাছটা আর পাতা মুড়ে দিতে মানা করছে।’হেসে ফেলে মৌসুমী, আনন্দও হাসে। দূরে কাজ করছিল হামিদ চাচা। আনন্দ তাকে ডাকে, ‘চাচা, এই গাছটার নিচের আগাছা পরিষ্কার করে দেন তো। আমাদের মৌসুমীর খুব প্রিয় গাছ।’চাচা বলে, ‘তোমরা যাও আমি এক ফাঁকে করে রাখবানি।’‘আশপাশটাও করে দিও।’ বলে আনন্দ, ‘বলা যায় না ঝোপঝাড় থাকলে আবার সাপ-টাপ আসতে পারে।’‘আরে না, এদিকে সাপ অত নেই। তা ছাড়া লজ্জাবতী হচ্ছে সাপের যম, বুঝিছ।’শেষ কথাটা শুনে মৌসুমী একটু তাকায় দাদার দিকে। আনন্দ সেটা হাত দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে এমন একটা ভঙ্গি করে যা থেকে বোঝা যায়Ñ ও সব গ্রাম্য কথা, না বিশ্বাস করলেও চলবে।বিকেলের দিকে মৌসুমী আবার যায় গাছটাকে দেখতে। সূর্য তখন ডুবে গেছে, আকাশে হালকা আলোর রেখা। মৌসুমী কাছে গিয়ে দেখে গাছের নিচের আগাছা একেবারে পরিষ্কার করা। কিন্তু লজ্জাবতীর একটা ডাল ভেঙে পড়ে আছে। সেটা তুলে নিতে গিয়ে খেয়াল করে পুরো গাছটাই ঝিমিয়ে গেছে। সমস্ত পাতা মুড়ে গেছে প্রায়। ডালটা নিশ্চয় হামিদ চাচা আগাছা নিড়াবার সময় ভেঙেছে। আর সেই জন্যই বোধ হয় গাছটা এমন হয়ে আছে। সে অনেকক্ষণ বসে থাকে, অন্ধকার হয়ে আসে প্রায় কিন্তু গাছটা কিছুতেই আর ঠিক হয় না। কান্না পেয়ে যায় মৌসুমীর। ডালটা ভেঙেছে বলেই বোধ হয় গাছটা মারা যাচ্ছে। হঠাৎ কী মনে হতেই সে হাতের ডালটা থেকে জোড় জোড়া পাতা ছিঁড়তে থাকে আর মনে মনে বলতে থাকে, বাঁচবে, বাঁচবে না, বাঁচবে, বাঁচবে না। সতের জোড়া পাতা ছিল তাই শেষবার হয় বাঁচবে। একটুখানি খুশি লাগে মৌসুমীর। তাছাড়া ও দেখেছে এটার চেয়ে একটু বড় ডালও আছে। তাতে পাতা হবে প্রায় তেইশ-চব্বিশ জোড়া, মানে ছেচল্লিশ থেকে আটচল্লিশটা। মানে যে ডালটা ভেঙেছে সেটা তুলনামূলক ছোট, সে জন্য বোধ হয় গাছটা বেঁচে যেতেও পারে। কিন্তু গাছের দিকে তাকিয়ে কোনও ভরসা পায় না। মন খারাপ করে ঘরে ফেরে। দাদা নেই, ক্রিকেট খেলতে গেছে। আজ আবার কোথায় ম্যাচ আছে, আসতে দেরি হবে।মা তাকে দেখে বলে, ‘কী হয়েছে মৌসুমী, অমন করে আছিস কেন?’‘কিছু না মা।’‘নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে। কাছে আয় তো মা, দেখি কী হল।’এরপর মৌসুমী মাকে সব খুলে বলে। তখনও তার হাতে সেই পাতা ছাড়া ডালটা। মা শুনে বলে, ‘দুর বোকা, ছোট্ট একটা ডাল ভাঙলে কি গাছ মরে যায়! লজ্জাবতী গাছ অন্ধকার হলে এমনিতেই পাতা মুড়ে ফেলে। আমরা যেমন রাতে ঘুমিয়ে পড়ি তেমন। কাল সকালে দেখবি আবার পাতা মেলে গেছে।’‘সত্যি বলছ মা?’‘এই, সত্যি না তো কি!’মৌসুমীর মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। সে চলে যায় পড়ার টেবিলে। তা না হলে বাবা আবার বকা দেবে। রাতে সে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দাদা বাসায় ফেরেনি। তাদের ম্যাচের পর আবার রাতের খাওয়ার অনুষ্ঠান আছে, সেটা সেরে আসতে সময় লাগবে।সকালে উঠে প্রথমেই সে দৌড়ে যায় লজ্জাবতী গাছটাকে দেখতে। মা ঠিকই বলেছে, গাছটা একেবারে তরতাজা হয়ে গেছে। পাতাগুলো সব মেলে গেছে একেবারে আগের মতোই। মা এসে স্কুলের জন্য তাড়া দেয়। মৌসুমী স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়।দাদার সাথে দেখা হয় স্কুল থেকে ফিরে। তাকে দেখেই বলে, ‘তোর জন্য খবর আছে।’‘কী খবর?’ অবাক হয়ে মৌসুমী জিজ্ঞেস করে।‘তোর লজ্জাবতীর খবর। সে সময় হামিদ চাচা বলল না লজ্জাবতী সাপের যম, কথাটা অনেকটা সত্যি।’‘কেন?’ জানতে চায় মৌসুমী।‘লজ্জাবতীর শিকড় সাপের বিষকে নির্বিষ করে দেয়।’‘নির্বিষ মানে?’‘মানে সাপের বিষের ক্রিয়া নষ্ট করে দেয়।’মৌসুমী আরও কিছু শোনার জন্য চেয়ে থাকে। আনন্দ আবার বলে, ‘এর জš§ কোথায় জানিস?’ তারপর নিজেই উত্তরটা দেয়, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আর মধ্য আমেরিকায়। এখন অবশ্য প্রায় সারা পৃথিবীতেই পাওয়া যায়।’‘সাপের বিষে কাজ করে, তার মানে এটা ঔষধী গাছ।’‘হ্যাঁ, এটা ঔষধী গাছ। এই গাছে হাইড্রোক্সামিনো এসিড আছে। যেটা বেশি পরিমাণ মানুষ বা অন্য প্রাণীর শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।’‘ওসব কঠিন কথা বাদ দাও। ওটার পাতা অমন মুড়ে যায় কেন লেখা নেই?’‘আছে তো। এই গাছের গায়ে কোনওরকম নাড়াচাড়া লাগলে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বের হয় ডালপালা থেকে। তখন এই রাসায়নিক দ্রব্য কোষ থেকে পানি বের করে দেয়। আর পানি বের হয়ে গেলেই পাতাগুলো ঢলে পড়ে।’‘কেন হয় ওরকম?’‘ওই যে তুই যেরকম ঘাবড়ে গিয়েছিলি, ওরকম ঘাবড়ে দেওয়ার জন্য। কোন প্রাণী যদি পাতা খাওয়ার জন্য আসে তাহলে হঠাৎ মুড়ে যেতে দেখে ঘাবড়ে সরে যাবে।’‘বেশ তো! আচ্ছা, এটার বৈজ্ঞানিক নাম বললে না তো!’একটু হেসে আনন্দ বলে, ‘তুই আবার বেশি জ্ঞান দিচ্ছি ভেবে কেটে পড়িস কিনা। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছেÑ মাইমোসা পুডিকা। আর পুডিকা হচ্ছে ল্যাটিন শব্দ, যার মানে লাজুক, তোর মতো।’‘ধ্যাত!
রাইজিংবিডি/সাহস/শামটি/এলএ