শিল্প ও সাহিত্য

টেক্সাসান জীবন থেকে : ৪র্থ পর্ব

দিলরুবা আহমেদ :  আপা বললেন, তোমার সিডি প্লেয়ারটা বন্ধ করোতো। এতো সুন্দর রাতে কি একটা ধুমধাড়াক্কার গান বাজাচ্ছ। এর থেকে তো চুপচাপ বসে থাকলেও ভালো। কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে আমার।

 

বুঝলাম আমার সেই বন্ধুর, যার জন্য নীরব সাথী খোঁজা হচ্ছে, তার উপযুক্ত পাত্রী ছিলেন অবশ্যই আমাদের এই আপা। বয়সটা গড়মিলের প্রধান কারণ। দুলাভাইও পথের কাটা। এ কাটা উপড়ে ফেলারও উপায় নেই। বললাম না যে এতো রাতে একা একা গাড়ি চালাতে আমার ভয় ভয় লাগছে। তাই এই ধামাকা, ধুমধাড়াক্কা। চারদিকে সুনশান নীরবতা। কেমন যেন শিনশিনে ভাব। পিনপতন নিস্তব্ধতা। যাকে বলে ভুতুড়ে রাজ্য আমরা পৌঁছে গেছি যেন সেখানে।

 

রাত কি খুব বেশি কিছু হয়েছে! তা না। মাত্র সাড়ে এগারটা বাজে। তবে তাতেই রাস্তাঘাট ফাঁকা। বিশাল বিশাল এ রাস্তা যেন অনেক বছর আগে থেকেই তৈরি হয়ে বসে আছে আজকের এই মধু রাতে শুধু আমার একারই গাড়ি চালিয়ে চলে যাওয়ার জন্য।

 

সঙ্গে আমার তিন কিটি। ফিরছি কিটি পার্টি (মেয়েদের পার্টি) থেকে। এখন সারা দিনের এতো বকবকানির পর তিনজনই চুপচাপ। যে যার রাজ্যে ডুবে আছে। তিনজনই আমার ওপর নির্ভর করে মাঝ রাতে পথে। তাই বোধয় দায়িত্ববোধ থেকেই নিজেকে আমার আরো একা মনে হচ্ছে।

 

ক্ষণে ক্ষণে মনে হচ্ছে, টেক্সাসের বিভিন্ন জায়গায় এখন যে উথাল-পাতাল অচেনা বন্যা হচ্ছে সেই পানি হঠাৎ যে কখন কোনদিক থেকে ধেয়ে এসে আমাদের ছুঁয়ে ধরে নিয়ে চলে যাবে বলা যায় না। কদিন আগেরই দুঃখজনক খবরটা ছিল দুজন চায়নিজ বুড়োবুড়ি বন্যার পানির কারণে রাস্তা না নদী বুঝতে না পেরে সোজা ড্রাইভ করে ট্রিনিটি রিভারে নেমে পড়েছিল। যখন ভুল বুঝেছে ওঠার সময় আর নেই। ৯১১-এ কল দিয়েছিল শেষ সময়ে। কিন্তু ল্যাংগুয়েজ ব্যারিয়ারের জন্য পুলিশ বুঝে উঠতে পারেনি তাৎক্ষণিকভাবে কোথায় কী ঘটছে। পরে নদী থেকে গাড়ি তোলা হয়েছে। বুড়োবুড়ি দুজনাই হাত ধরাধরি করে গাড়ির ভেতরেই ছিল তবে লাশ হয়ে।

 

দেশে থাকতে বন্যা-ঝড়কে এতো ভয় পাইনি। এখানে পাই। সম্ভবত দেশে মাথার ওপর বাপের বাড়ির, শ্বশুর বাড়ির বিশাল ছায়া ছিল। এখানে তো আমার শুধুই আমাদের। একটু ঝড়েই ভয় হয় এই বুঝি বাসার ছাদ উড়ে চলে যাবে। এ দেশে কোথায় পাবো সেই লোহা, ইট-সুরকির ঘন বাধা ঘরবাড়ি। অধিকাংশ বাড়িঘরই তৈরি হয় হার্ডবোর্ড আর কাঠ সাজিয়ে। একটাতে আগুন লাগলেই ধাই ধাই করে পরপর কয়েকটা বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায় দ্রুত।

 

কদিন আগেই ডালাস ডাউন টাউনের কাছে একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লান্টে আগুন ধরে বেশ হুলস্থুল লেগে যায়। আমার অফিস ডালাসে। পুরো অফিসটাই কাচের। বাইরে চাইতেই ধোঁয়া দেখা গেল। কালো ধোঁয়া কুণ্ডলি পাকিয়ে আকাশে উঠছে। প্রথম মন্তব্যটাই এলো ‘টেররিস্ট অ্যাটাক নাকি!’ What the hell!! এখন যা কিছু হবে সবই টেররদের কাণ্ড যেন। বিশেষ গোত্রের টেররদের দিকে নজর সবার।

 

কানা চোখে আমাকেও কেউ কেউ দেখছে ভেবে আমি নিজেই একটু শঙ্কিত হলাম। হয়তো তাকাচ্ছেও না, তারপরও, যেই যাচ্ছে আমার পাশ কেটে, তাকেই, আমি অনেকক্ষণ ধরে দেখতে লাগলাম। মাথা না ঘুরিয়ে স্রেফ চোখটা অল দ্যা ওয়ে রাইট বা লেফট-এ নিয়ে দেখতে লাগলাম। ওরা তাকানো মাত্রই আমার চোখে ধরা পড়বে। যদিও কাউকেই পাকড়াও করা গেল না। ভালোই ভদ্র বা ভালো সবাই বোঝাই যাচ্ছে।

 

আমার সঙ্গে কাজ করে আরেক মুসলমান আফ্রিকান, বিশাল দেহ। ওর নামটা মোহাম্মদ। সবাই ওকে ডাকে মো। যেহেতু এটা আমাদের মহানবীর নাম তাই এমন সংক্ষেপ করা আমার পছন্দ না হওয়াতে আমিই তাকে একমাত্র পুরো নামে ডাকি। সেই-ই আমাকে দেখে, আগুনের দিকে হাত উচিয়ে বলল, তুমি ওখানে কিছু করেছো নাকি, বলে হাসতে লাগল। মানে আছে কোনো এর! মজা করার আর সাবজেক্ট পাওনা খুঁজে! পরক্ষণেই বোধয় বোধোদয় হয়েছে, আগের কথার অর্থ ঢাকতে চেয়ে বলল, ইনডিয়ানরা অনেক জাদুমন্ত্র জানে,  চেয়ে থাকলেই নাকি আগুন জ্বলে, জ্বালিয়ে দেয় চাইলেই অনেক কিছু তাই না।

 

আমি যে ইনডিয়ান না জানে সে। তারপরও বলছে।

 

বললাম, ভাবতো একবার আমি চেয়েছি আর ওমনি তুমি দাউ দাউ আগুনের মাঝে জ্বলছো, তেলাপিয়া মাছের মতো মচমচে করে ভাজি হচ্ছো, দৃশ্যটা কেমন! মোহাম্মদ উহ্ আহ্ করে ঝটফট করে চোদ্দ বাকা করল শরীরটাকে। তারপরে হো হো করে হাসতে লাগল। এ দেশে তেলাপিয়া মাছটা সবাই চেনে। সবচেয়ে সস্তা মাছগুলোর মধ্যে এটা একটা, নামও এখানে তেলাপিয়াই। মেক্সিকান দোকানগুলোতে ঢাউস সাইজের কাচের জারে জ্যান্ত মাছগুলো সাতরে বেড়ায়।

 

পরের দিনই আমাদের আগুনের বিরুদ্ধে ফায়ার ড্রিল করানো হল। পাগলা ঘণ্টি বাজিয়ে সবাইকে অফিস থেকে বের করা হল। এই প্রচণ্ড রোদে ফায়ার ম্যানরা ছোটখাটো একটা রিহার্সলও দিল, আগুন লাগলে কি করলে কি হবে জাতীয়। আমরাও ভ্রু কুচকে প্রচণ্ড রোদে তেতে ওদের দিকে চুপচাপ চেয়ে রইলাম। কয়েকজন ধুপধাপ করে এদিক ওদিক চিৎপাট হয়ে শুয়ে পড়ল বা ফিট হয়ে গেল বা ভাণ করল। ওদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স দৌড়াদৌড়িও করল। কেউ কেউ বলল ওরা অফিস ফাঁকি দেওয়ার পথ বের করেছে। কয়েকজন আবার ফায়ার এস্টিংগুইশার খুলতে গিয়ে হাতে-পায়ে ব্যথা পেয়ে উফ, আহ্ করে লাফাতে লাগল। তারা বিপুল উৎসাহে শিখতে গিয়েছিল আগুন নেভাতে ফায়ার এস্টিংগুইশার কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।

 

মোহাম্মদ আমাকে বলল, চাও তো আকাশের দিকে বৃষ্টি যদি পড়ে তাতে। পাশ থেকে আরেকজন উস্কানি দিল তোমরা তো অনেক জাদুমন্ত্র জানো একটা কিছু করো তো। ভেলকিবাজি দেখার শখ পূরণও হলো সঙ্গে সঙ্গে। কোত্থেকে যেন এলো ঝরঝরিয়ে বৃষ্টির পানি। ছোটাছুটি করে সরে যেতেই খেয়াল হল এটা ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি থেকে পানির ছিটা দিচ্ছে চারদিকে। ফায়ার ডিলে তো পানির ছিটা একটু খেতেই হবে।

 

এদিকে, অফিসময় প্রচার হয়ে গেল আহমেদ ব্লাক (Black) আর্ট জানে। সে চাইতেই পানি ঝরেছে। আকাশ থেকে কি ট্যাংকি থেকে ডাজ নট মেটার। পানিই আসল কথা। যেই আমাকে দেখে সেই চোখ নাচায়। বেশ মজা পেয়েছে সবাই। নতুন খোরাক।

 

অবিনাশ নামের এক হিন্দু-বৃদ্ধ ট্রেনার আছে আমাদের অফিসে সে প্রায়ই হিন্দু দেবদেবী এবং পৌরাণিক কাহিনী সবাইকে বলে। সবার ধারণা এখন ইনডিয়া হচ্ছে যন্তর মন্তরের দেশ। আমি জাদুকর হুড়ীনী এবার নিজেই বড় বড় করে আহমেদ ফ্রম বাংলাদেশ লিখে আমার কিউবের সামনে লটকে দিলাম। শেষমেষ আহমেদ নামটাই যেন রক্ষাকবচ হয়ে উঠল।

 

মোহাম্মদের ওপর অবশ্যই আমি খুব বিরক্ত হলাম। সে শুধু নামেই মুসলমান। বিয়ে করেছে ভিয়েতনামি এক মেয়েকে। তাকে আবার মুসলমানও বানায়নি। যুক্তি দেখাল, ছেলেরা বিধর্মী মেয়েকে বিয়ে করতে পারে কিন্তু মুসলমান মেয়েরা কনভার্ট করিয়ে ছেলেটিকে তারপর বিয়ে করতে হবে নতুবা বিয়েটা জায়েজ হবে না। ছেলে এবং মেয়ের ক্ষেত্রে নিয়মটা ভিন্ন কিনা আদৌ হলেও কেন তা, এতো ব্যাখ্যা কে করবে এখানে। উল্টো সে বলল, এ রকম একটা ইনশিওরেন্স পলিসির ব্যবস্থা থাকলে কেমন হতো যেই ধর্মান্তরিত হবে সেই গাদা গাদা টাকা পাবে। তখন বোঝা যেতো কোনদিকে টান বেশি কার।

 

আমি অবশ্যই তার কথাটা আমলেই আনলাম না। বেহুদা কথাবার্তা বোধয় এগুলোকেই বলে। সে রাজ্যের যতো আজগুবি কথা আওড়িয়ে আগুনের বিরুদ্ধে ইনশিওরেন্স করার জন্য একটা করে কাগজ ধরিয়ে দিচ্ছে সবাইকে। হাউসহোল্ড জিনিসপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেলে, এটাই হবে রক্ষক। বুঝলাম অবসরে বা সময় সুযোগ পেলেই তার দ্বিতীয় জবটি করতে লেগে যায়। এটা হচ্ছে কোনো ইনশিওরেন্স কম্পানির পক্ষে ক্লায়েন্ট সংগ্রহ করা। নিজেও ভালো একটা পারসেনটেজ পাবে।

 

আমার চেনা প্রচুর লোক এ কাজটি করে। দেখা হলেই এই ইনশিওরেন্স ওই ইনশিওরেন্স করে করে মাথা পাগল করে দেবে। এ ধরনের এক ভাইয়ের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হলো আইসক্রিমের দোকান ব্রমস (Broms) এ। ওনাকে দেখা মাত্রই আমার বর বলল, রুবার আইসক্রিমের একটা ইনশিওরেন্স করুন তো, খেতে গিয়ে হঠাৎ কোন্-টা ভেঙে পড়ে গেলে মহাসর্বনাশ হবে।

 

ভদ্রলোক অবশ্য অবাক হয়ে হা করে চেয়ে না থেকে হো হো করে হাসতে লাগলেন।

 

মোহাম্মদ অবশ্য ইনশিওরেন্সের ব্যাপারে খুবই গুরু-গম্ভীর। বলল, সে সব কিছুর বিরুদ্ধেই ইনশিওরেন্স করতে চায়। নদী-নালা-খালা-বিল কিছুই বাদ যাবে না। বন্যার বিরুদ্ধেও ইনশিওরেন্স চায় সে। ক্যাটরিনার পর থেকে তার আমেরিকান হোম ডিস্ট্রিক্ট লুজিয়ানাতে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে।

 

নদীর দেশের মানুষ আমরা। তাই তার পানি ভীতি দেখে আমার হাসিই পেল। ওইসব তো আমাদের নিত্যসঙ্গী। আমাদের দেশে এখন ঢালাওভাবে বন্যা হচ্ছে। ভেবে অবাক লাগল থাকি এই দেশে অথচ এখানকার বন্যা নিয়ে চিন্তিত নই, কিন্তু বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে এখানকার বাঙালি সমাজের ভাবনার অন্ত নেই। ফলগুধারা কি একেই বলে?

 

আজকের আমাদের কিটি পার্টিতে এক ভাবী গর্ব করে দাবি করলেন আমরা নদীমাতৃক দেশের মানুষ। ওনার বাচ্চাটি সঙ্গে সঙ্গে বলল, মানে  কি নদীমাতৃকের।

ভাবীও বললেন, নদী যার মা।

বাচ্চাটাও সঙ্গে সঙ্গে বলল, সো ইওর ফাদার কি সাগর।

এই টেটনার কানটা মলে দেবে কিনা ভাবী সবাইকে এরপর জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন। বাচ্চাটি ততোধিক অবাক হয়ে তার ১০-১২ বছরের বয়সের জীবনের সব বিস্ময় চোখে ঢেলে মাকে বলল, তুমি রিজোনেবল কথাবার্তা যে বলছ না তা বুঝতে কেন পারছ না। কথাটা শোনা মাত্র আমরা অনেকেই হেসে উঠলাম শুধু আপা চুপিসারে আমাকে বললেন, ধরে ওই ছেলেকে একটা আছাড় আর দুটো চড় বসানো উচিত।

এদের চড় মেরে আর কি হবে, বাচ্চাদের কি দোষ, আমরাই দোষী। আমাদের অসাধারণ সমৃদ্ধ শব্দের সাম্রাজ্যের এরা যেন অচেনা অতিথি পাখি। মায়াই লাগে মাতৃভাষায় এরা যেন পথহারা পথিক। অনেক শব্দের বাহার, রূপ রহস্য, লুকোচুরি, উপমা, এসব ABBB-(আমেরিকান ব্রন বাংলাদেশি বাচ্চারা) ধরতেও পারে না, বুঝতেও না।

 

আমার আরো অবাক লাগল পেছন থেকে এক খালাম্মার গুনগুনিয়ে যে গানটা ভেসে আসছে তার শব্দগুলো আমিও ধরতে পারছি না। আমরা কি এক জেনারেশন আরেক জেনারেশনের কথাবার্তা আর বুঝতে পেরে উঠবো না।

 

ওনার সত্তর বছরের বয়সের ভারের কারণে না আঞ্চলিকতার কোনো টানের জন্য কথা বুঝে উঠতে পারছি না, তা বোধগম্য নয়। কিছুক্ষণ চেষ্টার পর বুঝতে পারছি উনি গাইছেন আন্ধার রাতের ভ্রমরা জাতীয় কোনো একটা গান। জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, তোমার খালুজি গাইতেন। আমি জীবনেও এ গান শুনিনি তাই ধরেই নিচ্ছি এটা স্বয়ং খালুজির লেখা। খালাম্মা বললেন, চাঁদ রাতে আমরা ঘুরতে বের হলে উনি গাইতেন এ গান।

 

সর্বনাশ গ্রামে বউ নিয়ে জ্যোৎস্না রাতে ঘুরে বেড়ানো! মা গো সেই কোন এক প্রাগ ঐতিহাসিক যুগে, রোমান্টিকতার এ বহরটা বিশ্বাস হলো না। বললাম, আপনার শ্বশুর-শাশুড়ির ঘুমানোর পরে বের হতেন না আগেই।

 

খালাম্মা বললেন, মনে মনে বের হতাম। সত্যি করে কি বের হতে পেরেছি কখনো? স্বপ্নটা দেখতে দেখতে ভাবতে ভাবতে এখন মনে হয় সত্যিই বুঝি কখনো হয়েছে ওই রকম কিছু। শেষ বেলাতে আজ ভাবি কিবা যায় আসতো যদি এমনভাবে হেটে নিতাম কিছুটা সময় পাশাপাশি। এখন তো একাই চলছি, একা একা। আজকাল বড় বেশি ইচ্ছে করে পাশে তাকে নিয়ে হাঁটতে, ঘুরতে, এই বিদেশটা দেখতে। উনি আবার গাইতে লাগলেন আধার রাতে সামথিং সামথিং জাতীয় একটা কিছু গান। অন্য খালাম্মা একেবারে চুপ।

হঠাৎ আপা বললেন, এই দেখো তো মনে হলো তোমার খালুজি  আকাশ দিয়ে উড়ে গেলেন না!

পেছন থেকে কোন প্রতিবাদই এলো না। উল্টো এক খালাম্মা বললেন, এক জনকে দেখেছেন না দুজনকেই! গান শুনে ছুটে এসেছিলেন বুঝি দরদ দেখাতে!

অন্য খালাম্মা বললেন, বুড়ো আর কাম পেল না এত বছর পর রোমান্টিক হচ্ছে।

বলেই গান ধরলেন, অন্যজনও গলা মেলালেন, কোরাসে ওনারা গান গাইতে লাগলেন, আঁধার রাতের ভ্রমরা...।

 

–(চলবে..)

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ জুন ২০১৬/সাইফ