শিল্প ও সাহিত্য

‘উপন্যাস আমাদের এখানে নাবালক পর্যায়ে রয়ে গেছে’

সাহিত‌্যের সব শাখাতেই ছিল তার সদর্প বিচরণ। পেয়েছিলেন সব্যসাচী লেখকের স্বীকৃতি। সমকালীন বাংলা সাহিত্য ও বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতায় অগ্রগণ্য সৈয়দ শামসুল হকের আজ জন্মদিন। দিনটিকে স্মরণ করে মহাকালের আদিঅন্তহীনতায় সমর্পিত এই কথাসাহিত্যিকের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো। কথোপকথনে ছিলেন কবি শিহাব শাহরিয়ার। শিহাব শাহরিয়ার : আপনার জন্ম কবে এবং কোথায়? সৈয়দ শামসুল হক : ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর। জায়গাটা হচ্ছে কুড়িগ্রাম।ছোট্ট একটা শহর, মহকুমা শহর ছিল তখন, এখন জেলা শহর হয়েছে। শিহাব শাহরিয়ার : আপনার শৈশব কোথায় কেটেছে? সৈয়দ শামসুল হক : আমি তো ১২ বছর তিন মাস বয়স অব্দি কুড়িগ্রামেই ছিলাম। তারপর ৪৮ সালের মার্চে ঢাকা আসি। আসি মানে বাবা আমাকে পাঠিয়ে দেন, এখানে স্কুলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্যে। ক্লাস নাইনে ভর্তি হই- ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে। এখান থেকে ম্যাট্রিক। তারপর জগন্নাথ কলেজে, সেই থেকেই তো আছি। মাঝখানে বছর আটেক আমি লন্ডনে বাস করেছি। আর একান্ন, বায়ান্ন সালে ভারত ছিলাম। এছাড়া, বলতে গেলে টানা প্রায় পয়ষট্টি বছর হয়ে গেল এই শহরে। শিহাব শাহরিয়ার : লেখালেখি কবে শুরু করলেন? সৈয়দ শামসুল হক : আমার প্রথম লেখা ছাপা হয় ১৯৫১ সালের মে মাসে। তার আগেই আমি কিছুটা লিখতাম; নিজের মতো করে লিখতাম- খাতার পাতায় কবিতা। একটা আস্ত-মস্ত উপন্যাসও লিখে ফেলেছিলাম, আবার একটা নাটকও লিখেছিলাম। আমার তখন বয়স হবে চৌদ্দ-সাড়ে চৌদ্দ। তখনও জানি না লিখবো, লেখক হবো বা লেখক হতে চাই। ১৯৫২ সালের অক্টোবর নাগাদ আমার নিজের কাছে এই কথাটা বলা হয়ে যায়- লেখাই হবে আমার কাজ। আমি লিখবো। সেই থেকেই লিখে চলেছি। শিহাব শাহরিয়ার : আপনার কোন কাগজে প্রথম লেখা ছাপা হয়েছিলো? সৈয়দ শামসুল হক : ফজলে লোহানির মাসিকপত্র ‘অগত্যা’ খুব বিখ্যাত কাগজ ছিল। ১৯৪৯ থেকে ৫২-৫৩ সাল অব্দি খুব চোটেপাটে এই কাগজটি চলেছে। বিশেষ করে পাকিস্তান দ্বি-জাতি তত্ত্ব এগুলো যে কতটা ভুয়া এবং বাঙালি যে কতখানি প্রতারিত হয়েছিলো- এগুলো খুব মজা করে, পরিহাস করে এই কাগজে পরিবেশিত হতো।

এই কাগজে সেই সময় অনেক তরুণ লেখক লিখতেন। যেমন আলাউদ্দীন আল আজাদ, আনিস চৌধুরী, মোস্তফা নুর ইসলাম, ফজলে লোহানি নিজে লিখতেন। আমি খুব গৌরববোধ করি যে, ওইরকম একটা কাগজে আমার প্রথম লেখা ছাপা হয়। শিহাব শাহরিয়ার : আমরা যদি মাইকেলকে বলি যে- আধুনিক বাংলা সাহিত্যের দ্বার উদঘাটন করেছিলেন, বিহারীলাল তারপর রবীন্দ্রনাথ একচেটিয়া দাপটে বিচরণ করেছেন। তারপর কাজী নজরুল এবং ত্রিশের কবি। তারপরে এর মধ্যে দুটি মহাযুদ্ধ হয়ে গেছে। চল্লিশের দশকের কয়েকজন উজ্জ্বলকবি ও কথাসাহিত্যিকের পরে ঢাকাকেন্দ্রীক যে সাহিত্যের শুরু হলো- আপনারা সেই প্রজন্মের। আপনারা পঞ্চাশের দশকের। বলতে চাই, সেই সময়ের অনুভূতি কী? আপনারা কী উত্তরাধিকার বহন করে চলেছেন, না কি নিজস্ব একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছেন? সৈয়দ শামসুল হক :  দু’রকমই বলা যায়। আমরা বাংলা ভাষা, সাহিত্যে মূল ধারায় আছি। বাংলা ভাষা সাহিত্য যেটা বলছি, সেটা পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ মিলিয়ে। এই একই ভাষায় লিখিত সাহিত্য। কিন্তু একটি জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক, রাজনীতিক এবং অর্থনৈতিক এই তিনটি বিশেষ অভিজ্ঞতার কারণে আলাদা হয়ে যায় সাহিত্য। পশ্চিমবঙ্গে যে বাংলা ভাষা সাহিত্য রচিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশে যে বাংলা ভাষা সাহিত্য রচিত হচ্ছে; এর মৌলিক তফাৎটাই হচ্ছে এখানে- দুটি সার্বোভৌম সাহিত্য। এজন্য যে, আমাদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা ভিন্নতর, অন্য বাংলাভাষীদের থেকে। কাজেই এভাবে বলা দরকার  যে, লেখা তো আকাশ থেকে আসে না। আসে মাটি থেকে, মানুষকে নিয়ে- মানুষের জীবন নিয়ে। ভাষা শুধু ভাষা নয়, ভাষার এক একটি শব্দ ইতিহাসের ভেতর দিয়ে আসা; প্রতিফলিত হয়েছে। যেমন-রক্ত। এই রক্ত পশ্চিমবঙ্গে উচ্চারণ করো, আর বাংলাদেশে যখন রক্ত বলো; তখন এর মাত্রায়, ব্যঞ্জনা ভিষণ অন্য রকম। এবং একটি শব্দ ধরো, ‘একুশ’, ‘একাত্তর’ এই বাংলাদেশে উচ্চারিত হলে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা থেকে একটি শিশু সবাই জানে ‘একুশ’ এবং ‘একাত্তর’ বলতে কি বোঝা যাচ্ছে। অন্য জায়গায় এটি শুধুই সংখ্যামাত্র, বিশেষ পরে একুশ আর সত্তরের পরে একাত্তর। তো এরকমভাবে ভাষা এমনকি সংখ্যাও মানুষের অভিজ্ঞতা ধারণ করে। শিহাব শাহরিয়ার : আপনার প্রথম গ্রন্থ কবে প্রকাশ হয়? সৈয়দ শামসুল হক : ১৯৫৪ সালের নভেম্বরে গল্পের বই সাতটি ছোট গল্প নিয়ে। বইটির নাম ছিলো ‘তাস’। তারপর ‘দেয়ালের দেশ’, ‘এক মহিলার ছবি’ এবং ‘অনুপম দিন’ উপন্যাস বের হয়। ‘এক মহিলার ছবি’ এবং ‘অনুপম দিন’ উপন্যাস লেখার মাঝামাঝি সময়ে ৬১ সালে আমার কবিতার বই বের হয় ‘একদা এক রাজ্যে’। শিহাব শাহরিয়ার : ৬১ সালে শামসুর রাহমানেরও কবিতার বই বের হয়েছিলো। সৈয়দ শামসুল হক :  হ্যাঁ, ৪৯ সালের পয়লা জানুয়ারি ওর প্রথম কবিতা বের হয় ‘সোনার বাংলা’ পত্রিকায়। চারটে বিচার- প্রথমেই আমি দেখবো এটি কবিতা হয়েছে কি না, যদি মনে হয়, হ্যাঁ কবিতা হয়েছে, এরপরে মিলিয়ে দেখবো, আমি যে আগে কবিতা লিখেছি, এতোদিন ধরে লিখছি বা কিছুদিন ধরে লিখছি; এই কবিতার প্রবাহে এইটার জায়গা কোথায়? আমি কি এক জায়গায় থেমে আছি? না এগিয়েছি, না পিছিয়ে গেছি- এই হচ্ছে আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন। উত্তর পেতে হবে আমাকে। তৃতীয় হচ্ছে, আমি যে ভাষায় কবিতা লিখছি, বাংলা ভাষা। এই বাংলা ভাষার কবিতার একটি ইতিহাস আছে। এই বাংলা ভাষার কবিতায় সামগ্রিক ধারায় আমার এই কবিতাটি জায়গা পেতে পারে, উল্লেখিত হতে পারে? সর্বশেষ প্রশ্ন হচ্ছে, এই মুহূর্তে কবিতার একটি বিশ্ব মানদণ্ড আছে, যে কয়টা ভাষা আমরা জানি; ধরো আমি বাংলায় লিখছি, বাংলা জানি, বাংলা মাতৃভাষা, ইংরেজি কিছুটা জানি বা কিছুটা ফ্রেঞ্চ জানি, কিছু কিছু জানি অন্যভাষা। তো, এইসব থেকে একটি বিশ্বমান আমার একটা ধারণা আছে। সেখানেও কি আমার কবিতা দাঁড়াতে পারবে, যদি কেউ নিয়ে যায়; এটা হচ্ছে শেষ। এই চারটে বিচারে যখন আমি নিজের কাছে সন্তুষ্ট হই, কিছুটা আশ্বাস পাই নিজের কাছে নিজেই। তখন এটিকে ছাপতে দেই। শিহাব শাহরিয়ার : একজন কবির জন্য বা একজন লেখকের জন্য ভাষাজ্ঞান কতটা প্রয়োজন? সৈয়দ শামসুল হক :  ভাষা দিয়েই তো কাজ। ছবি আঁকবে তুমি রং চিনবে না, গান গাইবে তুমি, গলার সপ্তসুর কীভাবে কাজ করছে এটা জানবে না? তুমি মনে করো নৃত্যশিল্পী, তুমি হাতের মুদ্রা, পায়ের মুদ্রা, দেহছন্দ এইটুকু বুঝবে না? ঠিক ভাষাও তেমনি। সে তো জানতেই হবে। ভাষা জানা মানে, ব্যাকরণ আর অভিধান থেকে জানা নয়। আগেই বলেছি, ভাষার ভেতরে কত কিছু রয়েছে। কাক মানে শুধু কাক নয়। কাকের ভেতরেও কত কিছু রয়েছে। এটা ঘরের চালে ডাকলে মনে হয়, অশুভ। আবার ইংরেজ কবি ট্রেড হিউজ ‘ক্রোজ’ সিরিজই লিখেছেন, এন্টিনার মতো কাক। কত রকম ব্যাঞ্জনা এই একটি শব্দের ভেতরে রয়েছে। জানতে হয়। কবিতায় একটা শব্দ আর একটার পাশাপাশি হলে, একটা আর একটার উপর আলো ফেলে এবং নতুন একটা অর্থ তৈরি হয়। শিহাব শাহরিয়ার : আপনার কতগুলো কবিতার বই বেরিয়েছে? সৈয়দ শামসুল হক :  ৩৫, ৩৬টা এই অব্দি হবে। তবে, এগুলো এখন সংকলিত হয়ে আমার কবিতা সমগ্র এবং প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় মোট তিনটি খণ্ড বেরিয়েছে। আরও দুটি খণ্ড এখন তৈরি হচ্ছ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অন্তত চতুর্থ খণ্ডটি বের হবে। শিহাব শাহরিয়ার : স্বাধীনতা উত্তর বাংলা নাটকের একটি মাইলফলক আপনি তৈরি করেছেন। নাম যদি বলি ‘নূরলদিনের সারাজীবন’, ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’; আপনি নাটক লিখতে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছেন? সৈয়দ শামসুল হক : নাটকে, গল্পে বা কবিতায় কাজ করি আমি মূলত ভাষায় কাজ করছি। আমি এভাবে দেখি। আমি এগুলোকে আলাদা করে দেখি না। যিনি গান করেন, তিনি পাঁচ রকমের গান করেন, করতে পারেন। যিনি ছবি আঁকেন, কখনো তিনি তেল রংয়ে, কখনো জল রংয়ে আঁকছেন। যখন যে বিষয়টা মনের ভেতরে আসে, এইটা বলবার জন্য সব চেয়ে ভালো বহন যেটা মনে হয়, সেটাতেই লিখি। নাটকও সেভাবেই লিখি। যখন আমার মনে হয়েছে, এই কথাগুলো জীবন্ত মানুষের অভিনয়ের মাধ্যমে জীবন্ত মানুষের সামনে উপস্থাপিত হবে অর্থাৎ নাটকে একদল অভিনয় করবে আর দর্শক দেখবে। এদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান হবে মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুতের গতিতে একটি প্রবাহের মতো। ওই যে ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ তুমি বললে, ওইটি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে; যে-ধর্মকে অসৎ উদ্দেশ্যে, মতলবে ব্যবহার করলে কি পরিণতি হয়, এইটে জানাবার জন্য আমি দেখলাম যে একটি কবিতা যথেষ্ট নয়। আমি একটি গল্প বা উপন্যাস লিখবো বা নাটক লিখবো। আমাকে সরাসরি মানুষের সাথে কথা বলতে হবে। সেইজন্যেই আমি এটিকে নাটকের কাঠামোতে একটি বক্তব্যতে দাঁড় করাই। ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ ও তাই। আজ থেকে আড়াইশ বছর আগে আমাদের এই উত্তর বাংলায়, বিশেষ করে আমার যেখানে জন্ম সেই বৃহত্তর রংপুর এলাকায়; একজন সাধারণ চাষী তিনি বিপ্লবী নেতা হয়ে উঠেছিলেন। যখন পুরো বাংলার, অর্থাৎ পূর্ববঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলিয়ে যে ব্রিটিশ বাংলা ‘সুবে বাংলা’ তাতে মাত্র তিন কোটি লোক; সেখানে তিনি ৩৫ হাজার লোকের বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। আজকের দিনের প্রায় আড়াই লাখ মানুষের একটি গেরিলা বাহিনী তিনি গড়ে তুলেছিলেন। যুদ্ধ করেছিলেন। যুদ্ধে তার পরাজয় হয়েছিল। পরাজিত হলেও তার যুদ্ধ ছিলো একটি মহান আদর্শকে উদ্দেশ্য করে। সেটা হচ্ছে- গরিবের পেটে ভাত আসবে, গরিবের স্বাধীনতা আসবে; গরিব তার স্বাধীনতা পূর্ণমাত্রায় করতলের ভেতরে পাবে। শিহাব শাহরিয়ার : এখন যারা তরুণরা লিখছে, তাদের লেখার সঙ্গে আপনার লেখার কোন মিল খুঁজে পান কি না? সৈয়দ শামসুল হক :  আমি অত্যন্ত স্পষ্ট গলায় বলতে পারি, প্রচুর প্রাণশক্তি আমি দেখতে পাই। নতুন নতুন পথে যাবার চেষ্টা করছেন আজকের তরুণেরা। বিশেষ করে ছোটগল্পে এবং কবিতায়, নাটকেও; উপন্যাসে নয়। উপন্যাস আমাদের এখানে নাবালক পর্যায়ে রয়ে গেছে। সে যতো বড় নামই বলো না কেন? আমি নিজে লিখে কিছুটা বদলাবার চেষ্টা করেছি। জানি না, কার কতোটা চোখে পড়েছে। কিন্তু আমার কাছে এই উপন্যাসের দিকটা একেবারেই নাবালকের কাজ মনে হয় এবং এইটাই মনে হয়েছে। এখন তো অনেকে প্রজেক্ট উপন্যাস লেখে। লোকের জীবনীভিত্তিক উপন্যাস লিখছে, মুক্তিযুদ্ধের অপারেশন নিয়ে উপন্যাস লিখছে। কোথায় মনের সেই অবলোকন, কোথায় সেই পর্যবেক্ষণ, কোথায় সেই বিশ্লেষণ- নেই। উপন্যাসের কথা ভুলে যাও। নাটকে? হ্যাঁ, নাটকে নিজস্ব নাট্যবুদ্ধি, এই মাটির-তরুণেরা সেটা খুব ভালোভাগে প্রয়োগ করে কাজ করছে। কবিতাতেও কাজ করছে। ছোটগল্পে নানা রকম পরীক্ষা-নিরিক্ষা তরুণেরা করে চলেছে যে একটা গল্প কীভাবে বলা যায়, নিজের মতো করে; যেটার অভাব বোধ করি সেটা হলো অনুশীলন এবং ধৈর্য। অনুশীলনের দরকার আছে। কারণ, অনেক কবিতা আমি দেখি, প্রায় হয়ে উঠেছে- আহা! কিন্তু হঠাৎ করে একটু ছন্দপতন কিংবা শেষে হয়ে ওঠেনি, গুটিয়ে তুলতে পারেনি বলার কথাটা। কিংবা নিতান্তই খুব হালকাচালে লিখেছে কিন্তু লেখার হাতটা খুব ভালো। আবার খুব হালকা কথা লিখেছে গভীরতর কোন কথা নাই। কাজেই আমি বলবো যে, প্রচুর প্রাণশক্তি আছে, আমি খুব আনন্দিত। শিহাব শাহরিয়ার : আপনি তো অনেক পুরস্কারও পেয়েছেন, একজন লেখকের জন্য একটি পুরস্কার তার প্রাপ্তিতে কতখানি যোগ করে? সৈয়দ শামসুল হক :  ভালো লাগে। লোকে পড়ছে, লোকে নাম করছে, দু’চারটে টাকাও আসছে, লিখে। পুরস্কারও এরকম ভালো লাগে। শ্রুতিলিখন : স্বরলিপি রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ ডিসেম্বর ২০১৮/তারা