বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সিরিজ-২০১৭

আলিম দারে বিভ্রান্ত মোসাদ্দেক-মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক : চতুর্থ দিনের শেষ ওভার করতে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার ওভারের শেষ বলটি ঠিকমতো খেলতে পারেননি সুরাঙ্গা লাকমাল। বল লাকমালের ব্যাট-প্যাড হয়ে চলে যায়। ক্যাচ মতো ওঠে। সৌম্য সরকার বলটি তালুবন্দি করেন। মোসাদ্দেক আউটের আবেদন করেন। আম্পায়ার আলিম দার মাথা ঝাকান। লাকমলও উইকেট থেকে বেরিয়ে প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটা শুরু করে। মূলত আলিম দার লাকমলকে নিবৃত্ত করতেই মাথা ঝাকিয়েছিলেন। বিভ্রান্ত বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম রিভিউ চেয়ে বসেন। রিভিউ তে দেখা যায় বল লাকমালের ব্যাট ছুঁয়ে যায়নি। ১৭ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ম্যাচ শেষে শেষ বলের এই কাণ্ডের বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘শেষ বলে আম্পায়ারকে দেখেই আমরা রিভিউটা নিই। আম্পায়ারের প্রতিক্রিয়া দেখে আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। এজন্য আমরা রিভিউটা নিয়েছি। উনি প্রথমে মাথা ঝাঁকানোতে, আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ওই সময় ভাবছি, রিভিউটা নিলে হয়তো আউটের চান্স আছে। ব্যাটসম্যান বেরিয়ে যাচ্ছিল কিনা, সেটা খেয়াল করিনি। আম্পায়ারের প্রতিক্রিয়ার দিকেই লক্ষ্য করেছিলাম।’ সাকিব ও মুস্তাফিজের বোলিংয়ের প্রশংসা করে তরুণ এই ক্রিকেটার বলেন, ‘বিশ্বের অনতম্য সেরা বোলার এখন মুস্তাফিজ। সাকিব ভাইতো সবসময়ই সেরা। তাদের দুইজনের কি দায়িত্ব সেটা তারা ভালো করেই জানেন। তারা জানেন কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে। তাদের চেষ্টাতেই আমরা ম্যাচে ফিরেছি। তবে লাঞ্চের পর এমন না যে মুস্তাফিজের কাটারগুলো উইকেটে ধরছিল। ও ভালো একটা জায়াগায় বল করছিল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, কখন ব্যাটসম্যানরা ভুল করবে।’ লাঞ্চ বিরতিতে কোচ কিংবা অধিনায়কের সঙ্গে বিশেষ কোন কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার বলেন, ‘লাঞ্চের পর আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা ব্রেক থ্রো। আমরা সেটা নিয়েই চিন্তা করছিলাম। এরপর একটা উইকেট বের হওয়ার পর আমরা মূলত ম্যাচে ফিরি।’ অভিষেকেই নিজের ৭৫ রানের ইনিংসের বিষয়ে মোসাদ্দেক বলেন, ‘আমি কি করেছি, সেটা বড় ব্যাপার নয়। ম্যাচটি জিততে পারলে মনে হবে আমার রানটা দলের জয়ে কাজে লেগেছে।’ রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ মার্চ ২০১৭/আমিনুল