সারা বাংলা

নিজেকে অসম্মান করছেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সব মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু বিশেষ গুণ বিদ্যমান। সেই বিশেষ গুণই তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। কখনো সেটি আমরা বুঝি নিজেই আবার কখনো অন্যের সাহায্যে।

 

প্রত্যেকেরই উচিত নিজের অনন্য গুণকে সামনে রেখে এগিয়ে চলা। যদিও পরিবেশ-পরিস্থিতির চাপে সেটা হয়ে উঠে না। ফলে আসলে নিজেই নিজেকে অসম্মান করে থাকেন অন্যের কাছে।

 

নিজের প্রাপ্য সম্মানটুকু যদি আপনি নিজেই নিজেকে না দেন, তাহলে অন্যরা কীভাবে দেবে? জেনে নিন বেশ কয়েকটি লক্ষণ, যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাবে যে, আপনি নিজেই নিজেকে অজান্তে অসম্মান করছেন।

 

* সবকিছুতেই রাজি হওয়া: সব কথাতেই হ্যা বলা বা রাজি হওয়াটা নিজের জন্য অনেক সময় চাপের বিষয় হয়ে উঠে। নিজের ইচ্ছা নেই এমন কোনো কাজ শুধু অন্যের সামনে ভালো হওয়ার জন্য রাজি হওয়া মানে আপনি আসলে নিজেই অপমান করছেন।

 

* যেটা আপনি না, সেটার অভিনয় করা: সুবিধা পাওয়ার আশায় নিজের স্বভাববিরুদ্ধ কিছু করা। অন্যের সামনে নিজেকে জাহির করার জন্য আপনি যেমনটা আসলে নন, সেটা দেখানো। এতে হয়তো আপনি প্রশংসা পাচ্ছেন বা ভালো হচ্ছেন অন্যের চোখে কিন্তু এর মাধ্যমে অসম্মান করছেন নিজেকেই। কেননা নিজেকে আপনি নিজেই গ্রহণ করতে পারছেন না, আপনি আসলে যেমনটা।  

 

* নিজের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে তাল মেলানো: নিজের মতামতের সঙ্গে অন্যের মতামত মিলে গেলে, সেটাতে সমর্থন করাটা স্বাভাবিক। অথচ নিজের মতবিরুদ্ধ হওয়ার পরও প্রতিপত্তি বা সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখে অন্যের মতামতের সঙ্গে তাল মেলানোর অর্থ নিজেকে আপনি দুর্বল মনে করেন। আপনি চাচ্ছেন না মাথা উঁচু করে চলতে। নিজেকে অসম্মান করছেন।

 

* অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে চলা: যাচাই না করে অন্যের কথানুসারে কাজ করাটা ঠিক নয়। কেননা এর মানেটা হচ্ছে, নিজের ওপর আপনার বিশ্বাস নেই এবং আপনার নিজস্ব কোনো মতামত নেই। আপনি নিজেই সেই সুযোগটা আসলে দেন, যাতে অন্যরা আপনাকে ব্যবহার করতে পারে। এর ফলে নিজেকে অসম্মান করছেন আপনি।  

 

* কথা চেপে রাখা: মনের কথা চেপে রাখা নিজের জন্যই অসম্মানজনক। মনের যা যেটা রয়েছে, সেটা প্রকাশ করুন সবার সামনে। কী ভাববে নাকি মজা ওড়াবে, এটা ভেবে মনের আবেগ বা কথা চেপে রাখা উচিত নয়। নিজের মনেরটা প্রকাশ করুন। এজন্য বিড়ম্বনায় পড়লে, লড়াই করুন পরিস্থিতির সামনে। নিজেকে প্রমাণ করুন, আপনি কাপুরুষ বা ভীতু নন।

 

* নিজের কথা না ভাবা : নিজের পক্ষে আওয়াজ না তুলে যখন শুধু অন্যদের আরাম, খুশির খেয়াল রাখেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই সবাই আপনাকে পেয়ে বসে। পাত্তা দেয় না। আপনার খারাপ লাগা-ভালো লাগা অন্যের কাছে গুরুত্ব পায় না। তাই অন্যদের পাশাপাশি নিজের দিকটাও ভাবুন। নিজের গুরুত্বও সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ নভেম্বর ২০১৫/ফিরোজ