সারা বাংলা

জিম-এর ক্ষেত্রে যা জানা প্রয়োজন

লাইফস্টাইল প্রতিবেদক : ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল’-শৈশব থেকে এই কথাটি শুনে আসলেও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুব একটা সময় দেওয়া অথবা যত্ন করা হয়ে ওঠে না অনেকেরই। যদিও ভালো শরীর এবং সুস্থ থাকতে চান প্রত্যেকেই। তবে সুগঠিত শরীর পাওয়ার জন্য যে সময় দিতে হয় তা অনেকেই মানেন না। ব্যস্ততা হোক বা অলসতা, ব্যাপারটি যেন এড়িয়েই চলেন সবাই।

 

কিন্তু সময়ের পালাবদলে বাংলাদেশেও সুস্বাস্থ্য এবং আকর্ষণীয় শরীর গঠনের জন্য সচেতনতা বেড়েছে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেশ ভালো সাড়া পড়েছে এই বিষয়টি। সেজন্য নিয়মিতই ব্যায়ামাগারমুখী হচ্ছেন অর্থাৎ জিমে ছুটছেন তারা। আর তাদের চাহিদা মেটাতে গড়ে উঠছে নতুন নতুন জিম।

 

বর্তমানে তরুণ-তরুণীরা সবাই স্বাস্থ্যসচেতন। সঠিক ডায়েটের সঙ্গে নিয়মিত মর্নিংওয়াক, ব্যায়াম তাদের রুটিনে জায়গা করে নিয়েছে। তবে জিমে ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি সেখানকার নিয়মকানুন, আচরণবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকা, সঠিক ব্যবহার ও পাশাপাশি কিছু নিয়মকানুন মেনে জিম করা প্রয়োজন।

 

রাজধানীর খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদে গড়ে ওঠা নিউ ইএলবি জিমের ট্রেনার মোহাম্মদ রাজুর মতে, আকর্ষণীয় শরীর পেতে নিয়মিত জিমে এসে অধ্যবসায়ের বিকল্প নেই। অনুশীলন করতে হবে। ‘প্র্যাকটিস মেকস এ ম্যান পারফেক্ট’ বিষয়টি মনে ধারণ করে জিম চালিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার এবং রুটিন মেনে চলতে হবে।

 

তিনি জানান, জিমে ভর্তি হওয়ার পর যে বিষয়টি প্রথমে করা দরকার সেটি হচ্ছে, জিমের ফিটনেস ট্রেনারের সঙ্গে যোগাযোগ করা। ট্রেনারের নির্দেশনা অনুযায়ী আপনাকে ধারাবাহিকভাবে ব্যায়াম করতে হবে। আপনি কী ধরনের ফিটনেস তৈরি করতে চান তা ট্রেনারের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে আপনার ফিটনেস পরিকল্পনা তৈরি করুন।

  জিমের যা সঙ্গে রাখবেন জিম করার সময় অবশ্যই জিমের উপযোগী পোশাক এবং ফিটনেস জুতা ব্যবহার করবেন। এছাড়া অন্যান্য সুবিধার জন্য একটি ব্যাগ সবসময় নিজের কাছে রাখবেন। এতে তোয়ালে, পানির বোতল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখতে পারেন। ব্যায়ামের সময় আরামদায়ক পোশাক, যেমন: গেঞ্জি, কেডস পরাই ভালো। সঙ্গে অবশ্যই পানির বোতল রাখতে হবে। ব্যায়ামের সময় শরীরে ঘাম হলে তা সঙ্গে সঙ্গেই মুছে ফেলার জন্য তোয়ালেও রাখতে হবে। কার্ডিও ব্যায়ামের জন্য জুতা বা কেডস খুব দরকারী ও গুরুত্বপূর্ণ । ভালোমানের কেডস না ব্যবহার করলে পায়ে ব্যথা, মাথা ব্যথা এমনকি মেরুদন্ডে ব্যথাও হতে পারে।

 

জিমের সময় ও খাওয়া দাওয়ানরমাল খাবার আগে যা খেতেন তাই খাবেন, কিন্তু পরিমানে একটু বেশি করে। স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য জিম করলে তা বিকালে করা ভালো (দুপুরের খাবার খাওয়ার ২/৩ ঘণ্টা পর)। জিম শেষে ১ ঘণ্টার মধ্যে ভালো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলে ট্রেনাররা। সেই সঙ্গে বেশি বেশি পানি খাওয়া চাই। নাহলে অতিরিক্ত ঘাম ঝরার কারণে জন্ডিস হয়ে যাবে।

 

স্বাস্থ্যকর খাবার কাঁচা ছোলা দ্রুত মাসেল বিল্ড করে। এক্ষেত্রে, কলাও বেশ উপকারি। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ ভালো কাজ করে। মাছ আর চর্বি ছাড়া মাংস খাওয়া ভালো। ডিম কুসুম ছাড়া খেতে হবে তবে যাদের বডি বেশি শুকনা তারা কুসুম খেতে পারেন। জিম করার সময় একটু পর পর পানি পান করতেই হবে।

 

উন্নতি পর্যবেক্ষন করুনজিম বা ব্যায়ামের শুরুতেই আপনার ওজন, বডি মেজারমেন্ট ইত্যাদি লিখে রেখে প্রতিমাসে কেমন উন্নতি হচ্ছে তা খেয়াল করা উচিত। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম করা উচিত। এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট রুটিন মাফিক ব্যায়াম করতে হবে। আগেই ঠিক করে নিতে হবে, কোন দিন কোন ধরনের ব্যায়াম কতটুকু করবেন।

 

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট এবং ট্রেইনার রাজু, ইএলবি জিম খিলগাঁও।

     

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ