সারা বাংলা

স্বামীকে খুন করে থানায় স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামীকে খুন করে থানায় গিয়ে খুনের দায় স্বীকার করেছে এক স্ত্রী। খুনের শিকার ওই স্বামীর নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮)।

 

বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাদাম বিবির হাট খাদেম পাড়া থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। জাহাঙ্গীর মাদাম বিবির হাটস্থ আবুল খায়ের স্টিল মিলের গাড়ি চালক।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে খাদিজার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে খাদিজা ঘরে থাকা পাথর (নোড়া) দিয়ে জাহাঙ্গীরের ঘাড়ে ও মুখমণ্ডলে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর মারা যায়। পরে খাদিজা সারাদিন এখানে সেখানে ঘুরাফেরা করে। লাশ গুম করতে চেয়ে ব্যর্থ হয়ে এক পর্যায়ে রাতে দুই সন্তানকে নিয়ে থানায় গিয়ে স্বামীকে খুন করার কথা স্বীকার বলে। পুলিশ রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

 

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খাদিজা বেগম জানান, জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন যাবৎ মদ্যপান করে সারারাত তাকে নির্যাতন চালাত। মঙ্গলবার দিবাগত রাতেও তাকে নির্যাতন করে জাহাঙ্গীর। পরে বুধবার ভোরে স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। এ সময় ঘরে থাকা নোড়া দিয়ে স্বামীর ঘাড়ে ও মুখে আঘাত করে সে। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী মারা যায়।

 

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল জানান, বুধবার রাতে খাদিজা থানায় এসে তার স্বামীকে খুনের ঘটনা বর্ণনা করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে এ ঘটনায় খাদিজাকে আটক করা হয়েছে।

 

জাহাঙ্গীর আলম ফেনী জেলার দাগন ভুঁইয়া থানার ভবানিপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদাম বিবির হাট খাদেমপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।

   

রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/৬ অক্টোবর ২০১৬/রেজাউল/রুহুল