সারা বাংলা

আবারো সেনা মোতায়েনের দাবি বিএনপির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও ভয়-ভীতিমুক্ত করতে আবারো সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছে বিএনপি।

 

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এই দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

 

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে এখন চলছে বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী। সুতরাং কমিশনকে অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র জমা নিয়ে নির্বাচনী পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ করতে আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আহবান জানাচ্ছি।’

 

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার শুরু থেকেই গডফাদারদের দাপট প্রদর্শনের ভঙ্গি ক্রমেই বিস্তারলাভ করছে। সুতরাং আমি আবারো দলের পক্ষ থেকে নাসিক নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও ভয়-ভীতিমুক্ত করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

 

রিজভী বলেন, ‘সেলিনা হায়াৎ আইভী গতবার যখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন, তখন তিনি সামরিক বাহিনী মোতায়নের দাবি জানিয়েছিলেন। অথচ এবার সরকারি সমর্থন তার পক্ষে থাকবে। তাই তিনি বলছেন সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। ’

 

ভোটাররা যাতে অবাধে ভোট দিতে পারেন ইসিকে সেই দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোট গ্রহণের দিনের আগেই যেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত না হয় সেদিকে নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নির্বাচন যাতে প্রতিযোগিতামূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অবাধ হয়, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভয়-ভীতিহীনভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারে, সেটি যেন বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিদায়ের প্রাক্কালে নিশ্চিত করতে পারে সেদিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে।’

 

রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি অভিযোগ সর্বত্র উচ্চারিত হয়ে আসছে। এতে যদি ন্যূনতম গ্লানিবোধ কমিশনের হয়ে থাকে তাহলে নাসিক নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য কমিশন উদ্যোগী হবে। সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জের দলবাজ প্রশাসনকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসন বসাতে হবে।’

 

সারা দেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হাতে দেশব্যাপী  মুক্তিযোদ্ধারা নির্যাতিত হচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘জমি দখল, প্রাণনাশের হুমকি, শাররীক ও মানসিক নির্যাতন ছাড়াও ক্ষমতাসীনদের হাতে নির্মমভাবে খুন হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এসব ঘটনায় আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ জড়িত থাকায় কোনো বিচার পান না ভুক্তভোগীরা।’

 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজ্জামেল হক প্রমুখ।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ নভেম্বর ২০১৬/রেজা/ইভা