সারা বাংলা

কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডা, এক শিশুর মৃত্যু

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে কয়েক দিন ধরে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত থাকায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। মঙ্গলবার জেলায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি  সেলসিয়াস। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সকালে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১টি শিশু। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ২৯টি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। লিজা মনি নামের ১০ মাসের এক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার মারা যায়। নিহত শিশুর মা আসমা বেগম অভিযোগ করেন, চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভালো চিকিৎসা না পাওয়ায় তার বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। গত পাঁচদিনের অব্যাহত কনকনে ঠান্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও নিন্ম আয়ের মানুষজন। গরম কাপড় না থাকায় কাজে বের হতে পারছেন না বেশির ভাগ শ্রমজীবী মানুষ। বোরো ধানের চারা রোপন শুরু হলেও মাঠে যেতে পারছেন না কৃষি শ্রমিকরা। কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক আবুল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে মাঠে যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় বউ-বাচ্চা নিয়ে বড় বিপদে আছেন। হাতে টাকা নেই। গরম কাপড় কিনতেও পারছেন না।  কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীনুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭১টি শিশু ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ২৯টি। সদর হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকসহ সকল কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাইজিংবিডি/কুড়িগ্রাম/১৭ জানুয়ারি ২০১৭/বাদশাহ সৈকত/বকুল